সৌদি আরবে হজ পালন শেষে চোখের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চিকিৎসা শেষ হলে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে দেশে ফিরতে পারেন তিনি। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে। এদিকে হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওমরাহ পালন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া।
জেদ্দা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মুশতাক আহমেদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার জেদ্দা থেকে মক্কায় পৌঁছে রাত ১১টার দিকে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সফরসঙ্গীরা পবিত্র ওমরাহ পালন করেছেন। সৌদি রয়েল প্রটোকলের ব্যবস্থাপনায় তারা বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ, মাকামে ইব্রাহিমের পেছনে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়, মুলতাজিমের সামনে বিশেষ মোনাজাত ও সাফা-মারওয়া প্রদক্ষিণ করে ওমরাহর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এ সময় দেশের মানুষের মুক্তি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সহস্রাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী পবিত্র বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাথে অংশ নেন। সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিব, প্রধান উপদেষ্টা আব্দুর রহমান, মক্কা বিএনপির নেতা খন্দকার এম এ হেলাল সিআইপি, নুরুল আফসার চৌধুরী সহ সকল স্তরের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। গতরাতেই হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
অন্যান্য হাজযাত্রীদের মতো এখন মিনায় অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে লন্ডন হয়ে দেশে ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। চোখের চিকিৎসা করানোর জন্যই মূলত লন্ডন যাবেন তিনি।
সেক্ষেত্রে আগামী মাসের শেষ দিকে তিনি দেশে ফিরতে পারেন। দলের মধ্য সারির প্রভাবশালী এক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া সৌদি আরব ত্যাগ করবেন। সেখান থেকে তিনি লন্ডনে যাবেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে বেশ কিছুদিন লন্ডনে অবস্থান করতে পারেন বিএনপি প্রধান। প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি চোখের চিকিৎসা নেন।
বিবার্তা/জিয়া