কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে শনিবার দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৫ জন। এনিয়ে গত ৮ জুলাইয়ের পর থেকে এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরের সহিংসতায় ৭৭ জনের প্রাণ গেল।
এদিন সকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান ও অনন্তনাগ জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। সোপিয়ানের টাক্রু গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছুড়লে পাল্টা তারাও টিয়ার স্মোক এবং পেলেট গান ব্যবহার করে। হঠাৎই টিয়ার স্মোকের একটি সেল এসে লাগে শয়ার আহমেদ শেখ (২৬) নামে এক বিক্ষোভকারীর কপালে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
গ্রামবাসীদের দাবি কমপক্ষে ৩০ জন বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া পেলেট গানে আহত হয়েছে।
অন্যদিকে অনন্তনাগ জেলার বোতেঙ্গু গ্রামে ইয়াবর মুস্তাক (২৫) নামে এক যুবকের পেটে ও বুকে পেলেট বিদ্ধ হয়। পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানোর সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর পেলেট গান ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের দাবি বোতেঙ্গুতে পেলেট গানে ১০ জন আহত হয়েছেন।
রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি জানান, শোপিয়ানে আরেক যুবকের নিহত হওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। নিজের বাসা ছেড়ে সকাল-সন্ধ্যা ২৪ ঘন্টা ধরেই চিকিৎসকরা তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
গত ৮ জুলাই নিরপাত্তা বাহিনীর গুলিতে হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি (২১)-এর নিহত হওয়ার পর থেকে গত দুই মাস ধরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি যথেষ্ট থমথমে। উপত্যকার জনজীবন এখনও স্বাভাবিক নয়। সহিংসতায় ৭৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে অনেক নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরাও আছে।
বিবার্তা/ডিডি/রয়েল