কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ানোয় মমতাকে ধন্যবাদ জানাতে এলেন মুন্নাভাই। জানালেন কয়েদিদের পুনর্বাসন প্রকল্পে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাথে গাটছড়া বেঁধে কাজ করতে চায় তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
১৯৯৩এ মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের নাম জড়িয়ে গেলে গোটা বলিউডসহ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু অভিনেতা ও বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ান মুন্না ভাইয়ের। তাই জেলের সাজা কেটে মাত্র কিছু দিন আগেই মুক্তি পাওয়া এই বলিউড অভিনেতা কলকাতায় এসে ধন্যবাদ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়কে।
সোমবার শ্যুটিং-এর কাজে কলকাতায় এসেছিলেন মুন্নাভাই নামে খ্যাত এই বলিউড অভিনেতা। শ্যুটিং-এর ফাঁকেই এই বলিউড অভিনেতা বলিউড সটান চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় “নবান্নে”। তখন নবান্নে সবে সাংবাদিক বৈঠক শেষ করে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মাঝেই সঞ্জয় দত্ত তার তার ঘরে এলে, তখন অন্যান্য বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও সেখানে ছিলেন।
তাঁদের সঙ্গে একে একে মুন্নাভাইয়ের পরিচয় করিয়ে দেন মমতা। জানতে চান, কী পছন্দ সঞ্জয়ের। চা, না কফি? মুন্না ভাই কফি খেতে চান দিদির কাছে। আমন্ত্রণ জানান আগামী নভেম্বরে কলকাতা ফ্লিম ফেস্টিভেলে।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এটি নিছকই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ । মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুম্বইয়ের দত্ত পরিবারের সম্পর্ক বরাবরই ভাল। সঞ্জয় দত্তের পিতা প্রয়াত সুনীল দত্তের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। টাডা আইনে সঞ্জয় যখন জেলে তখনও তার পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনার উল্লেখ করে সাক্ষাৎ পর্ব সেরে গণমাধ্যমকে সঞ্জয় জানান ৯৩য়র সেই ঘটনায় শত্রুঘ্ন সিনহা ও মমতা ব্যানার্জি ছাড়া তার পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। তাই কলকাতায় এসেই তাকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছেন তিনি। এবং পশ্চিমবঙ্গের জেলে থাকা কয়েদিদের পুনর্বাসন প্রকল্পে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাথে তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা একসাথে গাটছড়া বেঁধে একসাথে কাজ করতে চান বলেও মমতাকে প্রস্তাব দেন সদ্য এই জেল ফেরৎ বলিউড অভিনেতা।
বিবার্তা/ডিডি/জিয়া