বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাধের শান্তিনিকেতনে নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ ভবন’ পরিদর্শন করলেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি। তার সঙ্গে ছিলেন কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদ, কাউন্সিলর মিয়া মইনুল কবিরসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
শনিবার দুপুরের দিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দিরা ভবনের পেছনের জমিটিতে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ভবনটি ঘুরে দেখেন তারা। কথা বলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন দত্তের সঙ্গে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ও ন্যশনাল বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের (এনবিসিসি) প্রতিনিধি দলের সাথে হাইকমিশনার ও ডেপুটি হাইকমিশনারসহ অন্যরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ভবনের কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ ভবনের কাজের মান যথাযথ রেখে নির্ধারিত সময়ে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য হাইকশনার তাগিদ দেন। যদিও নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে দুজনই সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষও আশ্বস্ত করেন কাজের মান যথাযথ রেখেই নির্ধারিত সময়ে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে। আগামী বছরেই এই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আদান প্রদানের লক্ষ্য হিসেবে শান্তিনিকতনে বাংলাদেশ ভবন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৪ সালের মার্চে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যাডিং (মউ) চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।
শান্তিনিকতনে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ভবনটিতে বাংলাদেশের শিলাইদহে থাকাকালীন বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের রচিত কবিতা, গান ও বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিসহ বাংলাদেশের ইতিহাস রাখা হবে। ঠাঁই পাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের ইতিহাস।
এছাড়াও আলোচনা সভা মঞ্চ, পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা থাকছে। সঙ্গে থাকছে বাংলা ভাষা ও বাংলা চর্চা কেন্দ্রও। গবেষণার সুযোগ নিতে পারবেন বিদেশি পড়ুয়ারাও।
চৌদ্দ হাজার বর্গ ফুটের (একটি তল আনুমানিক সাত হাজার বর্গফুট) ওপর দ্বিতল এই ভবনটি গড়ে তুলতে খরচ হবে আনুমানিক ৪০ কোটি রুপি।
বিবার্তা/ডিডি/কাফী