ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের উরিতে সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ১০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার একদল সন্ত্রাসী ওই এলাকায় প্রবেশের চেষ্টাকালে এ ঘটনা ঘটে। কাশ্মিরের সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ ভারতীয় সেনার প্রাণহানির দুইদিন পর এ ঘটনা ঘটলো।
ভারতের সেনাবাহিনী বলছে, একটি বৃহৎ অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। অবৈধ প্রবেশের চেষ্টার সময় কাশ্মিরের লুচিপাড়া সীমান্তে ১৫ সন্ত্রাসীকে ঠেকানো হয়েছে। এ সময় এনকাউন্টারে অন্তত ১০ সন্ত্রাসী নিহত ও নওগাম এলাকায় পৃথক ঘটনায় এক ভারতীয় সেনা আহত হয়েছে। উভয় স্থানে এখনো গোলাগুলি চলছে।
এদিকে উরিতে মঙ্গলবার পাকিস্তান সেনাবাহিনী অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। ওই এলাকায় অন্তত ২০ মিনিট ধরে গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনাবাহিনী।
এর আগে রবিবার কাশ্মিরের উরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় চার সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলি ও গ্রেনেডে অন্তত ১৮ ভারতীয় সেনার প্রাণহানি ঘটে। ভারতের দাবি, পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জয়েশ-ই মোহাম্মদের সদস্যরা কাশ্মিরের ওই ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
কাশ্মিরের সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় দুই দেশের মাঝে চরম বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ভারতের সেনাপ্রধান পাকিস্তানের ভেতরে যথাসময়ে সঠিক স্থানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ভারতীয় সেনাপ্রধানের এ ইঙ্গিতের পর পাক সেনাপ্রধানও পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেছেন, যে কোনো ধরনের হামলা মোকাবেলায় পাক সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনার জেরে এ অঞ্চলের ওপর দৃষ্টি রাখছে বলে জানিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ। সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিবার্তা/রয়েল