জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করল ভারত। বুধবার রাতে জাতিসংঘের ৭১তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাশ্মীরে নিহত হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানিকে তরুণ নেতা তকমা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
শরিফের ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবর জানান, ‘হিজবুল মুজাহিদিনকে সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে একটা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান বুরহান ওয়ানির মতো একজন সন্ত্রাসবাদীকে স্বাধীনতাকামী যুব নেতা হিসেবে তুলে ধরেছেন। এই ঘটনায় পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাস যোগের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে’।
আকবর আরও জানান ‘এই ঘটনা পাকিস্তানের নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেয়া। আমরা শরিফের এই হুমকি, তর্জন-গর্জন করে দেয়া বক্তব্য শুনেছি এবং এই বক্তব্যকে অপরিপক্কতা ও জ্ঞানের অভাব ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না’।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন ‘হাতে বন্দুক নিয়ে আলোচনা চায় পাকিস্তান কিন্তু বন্দুক আর আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না, সেটা পাকিস্তানের বোঝা উচিত। আমরা সবসময় পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত কিন্তু পকিস্তানের ব্ল্যাকমেইলিং আর সহ্য করা হবে না’।
জাতিসংঘের মঞ্চে বিশ মিনিটের বক্তব্য রাখেন শরিফ। কিন্তু এর মধ্যে বেশির ভাগটাই ব্যয় করেন কাশ্মীর ইস্যু ও উপত্যকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে।। তিনি বলেন, কাশ্মীরের মানুষ ভারতের দখল থেকে মুক্তি চায়। কাশ্মীরি মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে পাকিস্তান সমর্থন জানাবে বলেও ঘোষণা করেন শরিফ। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বকেয়া ইস্যুগুলিকে মেটাতে শর্তবিহীন আলোচনারও ডাক দেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে পাকিস্তানের ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ। ট্যুইট করে স্বরূপ জানান ‘জাতিসংঘের মতো একটি শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনে হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির প্রশংসা করে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগের বিষয়টি সামনে চলে এল’। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নিয়ে স্বরূপ বলেন ‘আগে সন্ত্রাস ছাড়তে হবে তারপর আলোচনা’।
বিবার্তা/ডিডি/জিয়া