ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কাশ্মীরের উরিতে সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলাকারীরা শাস্তি পাবেই, তাদেরকে কোনোমতেই ছাড় দেয়া হবে না। রবিবার রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরিতে জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদি বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের ১৮ জন সাহসী জওয়ান তাদের প্রাণ দিয়েছেন। এই ধরনের কাপুরোষিত হামলা দেশকে যথেষ্ট নাড়া দিয়েছে। জওয়ানদের মৃত্যু গোটা দেশের পক্ষেই ক্ষতি।’
উরির হামলাকারীদের যে কোনোমতেই ছেড়ে দেয়া হবে না তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন মোদি। তিনি বলেন, ‘জওয়ানদের ওপর হামলাকারীরা শাস্তি পাবেই। ভারতীয় সেনার প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং আমরা তাদের জন্য গর্বিত। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদরা আছে যারা কথা বলেন কিন্তু সেনা জওয়ানরা কথা বলেন না। তারা তাদের কাজের মধ্যে দিয়ে বীরত্ব দেখায়। আমরা আমাদের সেনাদের নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি নিশ্চিত যে আমাদের সেনারা ভবিষ্যতেও এই ধরনের হামলা রুখে দেবে।’
উরির হামলার পর ভারতের তরফে এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে। হামলাকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া খাবার, ওষুধসহ একাধিক জিনিসপত্র থেকে প্রাথমিকভাবে পরিস্কার যে তারা পাকিস্তান মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য। যদিও পাকিস্তানের তরফে এই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।
গত ৮ জুলাই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে কাশ্মীরে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে সে প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘আজ আমি কাশ্মীরের মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। কাশ্মীরের মানুষ এখন বুঝতে পারছেন যে কারা আমাদের দেশের বিরোধিতা করছে। আমরা সবাই জানি, শান্তি ও একতাই হলো উন্নতির অন্যতম পথ এবং সমস্যা সমাধানের এটাই একমাত্র পথ। উপত্যকায় এখন সেটাই শুরু হয়েছে। কাশ্মীরের মানুষেরাও এখন শান্তি ও উন্নতির পথ বেছে নিয়েছেন। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের স্কুল-কলেজে পাঠাচ্ছেন। কাশ্মীরে উৎপাদিত খাদ্য ও ফল সামগ্রী ভারতের অন্যান্য অংশে পাঠাতে চাইছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। ‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরের মানুষদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব ভারত সরকারের। সরকার সে লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিবার্তা/ডিডি/নিশি