২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসের অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের চুক্তিতে সংশোধন আনা হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে যে সব দেশ অঙ্গীকার করেছে, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে ভূমিকা রাখবে, সেই সব দেশের অঙ্গীকার পরিবর্তনে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমিকা রাখবে।
রবিবার ভারতের কেরালা রাজ্যে এক সভায় নরেন্দ্র মোদি চুক্তিতে পরিবর্তন আনার কথা বলেন। তবে চুক্তিতে কী পরিবর্তন আনা হবে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি।
যে ৫৫টি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী, তারা ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে অঙ্গীকার করে, সবাই মিলে গ্রিন হাউজ অ্যাফেক্ট ৫৫ শতাংশ কমিয়ে আনবে। এর মধ্যে ভারত বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ, যারা গ্রিন হাউজ অ্যাফেক্টের জন্য দায়ী।
মোদি সভায় বলেন, আগামী অক্টোবর মাসের ২ তারিখ মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন। আমি ঘোষণা দিচ্ছি, ওই দিন ভারত চুক্তিতে পরিবর্তন আনতে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, আগামী ২ অক্টোবর দিনটি বেছে নেওয়ার কারণ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীজী সারাজীবন কম কার্বন নির্গত পরিবেশে জীবন ধারণ করেছেন। সেটি একটি মাইলফলক।
ভারত ঠিক সেই সময় এ কথা বললেন যখন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলমান রয়েছে। এই অধিবেশন উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব বান-কি মুন আস্থার সঙ্গে আশা প্রকাশ করে জানান, এ বছরের শেষ নাগাদ গ্রিন হাউজ বিষয়ে চুক্তি সই হবে।
বিশ্বের সব চেয়ে বেশি কার্বন নির্গমণকারী দুটি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রেসিডেন্ট গত মাসে এক সম্মেলনে মিলিত হলে তারা অঙ্গীকার করেন, তারা কার্বন নির্গমণ কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তাদের এ ঘোষণার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দেন এ বছরের পর ভারত এই চুক্তিতে যোগ দেবে।
এর আগে অন্যান্য দেশ কার্বন নির্গমণ যথেষ্ট পরিমাণ কমিয়ে আনতে রাজি হলেও ভারত বেশি কমাতে রাজি হয়নি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশ গ্রিন অ্যানার্জি বাড়িয়ে ২০৩০ ধীরে ধীরে কার্বন নির্গমণ কমিয়ে ২০০৫ সালে যে নির্গমণ মাত্রা ছিল সেই মাত্রায় আনবে। ভারত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। সে কারণে ভারত আপত্তি করে জানিয়েছিল, যদি কার্বন নির্গমণ এক-তৃতীয়াংশও কমানো হয়, তাহলে ভারতের দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী ১.২ বিলিয়ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার ওপর তা বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বিবার্তা/ইফতি