পাঞ্জাব সীমান্তের ১০ কিলোমিটার এলাকা থেকে গ্রামের লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পাঞ্জাবের সঙ্গে পাকিস্তানের ৫৫৩ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্য হওয়ায় এর আগে ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাঞ্জাবে একই ধরনের পদক্ষেপ দেখা গেছে।
বুধবার রাতে কাশ্মিরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’র পর বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
কাশ্মিরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ এ দুই পাক সেনা ও অনেক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। তবে দুই সেনা সদস্য নিহত হওয়ার তথ্য স্বীকার করলেও পাকিস্তানে ঢুকে ভারতের সেনা অভিযানের তথ্য নাকচ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান বলছে, সীমান্তে গোলাগুলিতে দুই সেনা নিহত হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মির সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় স্কুল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর পাক সীমান্তের পাঞ্জাবের ১০ কিলোমিটার এলাকার গ্রামগুলো থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে নেবে স্থানীয় প্রশাসন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল সরকারি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন।
এদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের মাটিতে এ ধরনের অভিযান চালানো হলে তার কড়া জবাব দেয়া হবে।
পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সীমান্তে ভারতীয় সেনার গুলিতে দুই পাক সেনার প্রাণহানি হয়েছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পাকিস্তানের মনোভাবকে দুর্বলতা মনে করা ঠিক হবে না।
বিবার্তা/কাফী