অনুপ্রবেশ, অরক্ষিত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া, জাল রুপি, মাদক ও গরু পাচার, জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সীমান্ত নাশকতা সম্পর্কিত একাধিক বিষয় নিয়ে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ডিজি পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আজ শুক্রবার বসতে চলেছে ভারতে।
দিল্লিতে ছয়দিন ব্যাপী এই বৈঠক চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ৪৩ তম বৈঠকে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট বিএসএফ’এর তরফে প্রতিনিধিত্ব করবেন বাহিনীর প্রধান কেকে শর্মা এবং বিজিবির ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বাহিনীর ডিজি মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
বৈঠকে যোগ দিতে আজ শুক্রবার বিকালেই দিল্লিতে পৌঁছাচ্ছে বিজিবির প্রতিনিধি দলটি। চলতি বছরের মে মাসে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ৪২ তম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকায়।
এই বৈঠকে ভারতের বিএসএফের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও ভারতের স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত এজেন্সি এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’র কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
দুই বাহিনীর মধ্যে কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার হিসাবে আগামী ৩ অক্টোবর দিল্লির ত্যাগরাজ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে একটি ভলিবল ম্যাচেরও আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৭৫ সাল থেকেই বছরে একবার বৈঠক হয়ে আসছে দুই বাহিনীর মধ্যে, যদিও ১৯৯৩ সালের পর থেকে বছরে দুই বার করে এই বৈঠক হচ্ছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, মিজোরাম, আসাম, ও ত্রিপুরা এই পাঁচ রাজ্যের মোট সীমান্তের পরিমাণ ৪০৯৬ কিলোমিটার। এই বিস্তৃত সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে বাংলাদেশী মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনাটিও যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিএসএফ এর দাবি সীমান্তে চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে মারণাস্ত্র ব্যবহার না করার কারণে সীমান্ত হত্যা অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
কিন্তু এই মৃত্যু শূণ্যে নামিয়ে আনাই হবে প্রধান লক্ষ্য। তবে এমন একটা সময় বিএসএফ-বিজিবির এই বৈঠক হচ্ছে যখন চব্বিশ ঘণ্টা আগেই নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকশাসিত কাশ্মীরে গিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে জেএমবি জঙ্গিরা ভারতে ঢুকে গা ঢাকা দিচ্ছে সেই বিষয়টিও বৈঠকে তোলা হবে।
বিবার্তা/ডিডি/জিয়া