জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ১৮ জন নেতা-কর্মীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাজেদুর রহমান এই আদেশ দেন।
শুক্রবার রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর স্ত্রী শামসুন্নাহার নিজামী এই স্কুলটির অধ্যক্ষ।
১৮ জন আসামির মধ্যে দুজনকে তিন দিন এবং অপর ১৬ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তিন দিন করে যাদের রিমান্ডে দেয়া হয়েছে তাঁরা হলেন মামলার প্রধান আসামি ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ ওরফে কেফায়েত উল্লাহ এবং মো. শাহীন।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় এই আসামিদের আদালতে হাজির করে দশ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে বাড্ডা থানা-পুলিশ। আসামিদের পক্ষে রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হয়।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল।
ডিআইটি প্রজেক্টের ৮ নম্বর সড়কের ২৫ নম্বর বাড়িতে রয়েছে ওই স্কুল। বাড্ডা থানার পুলিশ বলেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর স্ত্রী শামসুন্নাহার নিজামী ওই স্কুলের অধ্যক্ষ। শামসুন্নাহার নিজেও জামায়াতের নেতা। তিনি দলটির মহিলা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ জানায়, ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটির দুটি শাখা রয়েছে। একটি গুলশানে, অন্যটি মেরুল বাড্ডায়-অভিযান চালানো সেই স্কুল। দুটি শাখারই অধ্যক্ষ শামসুন্নাহার নিজামী। স্কুলটিতে অভিযান চালানোর সময় তিনি সেখানে ছিলেন না। বাড্ডা থানা শাখা জামায়াতের আমির ফখরুদ্দিন মো. কেফায়েতুল্লাহ স্কুলটির ভাইস প্রিন্সিপাল। তিনিই এ শাখা চালাতেন। তাঁকে ও বাড়ির মালিক বিল্লাল হোসেনসহ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবার্তা/রোকন/কাফী