র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) অভিযান চালিয়ে ৬১১টি দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি জব্দ করেছে। এসময় মো. জিয়াউর রহমান নামে এক জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাভারের জিরাবোতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব-২ ও বন্য বিভাগের বন্যপ্রাণি অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে।
জব্দকৃত পাখিগুলোর মধ্যে ৮০টি মুনিয়া, ২৩০টি বাসন্তী লটকন তোতা, ২০০টি কালামাথা মুনিয়া, ১০০টি তিলা মুনিয়া ও একটি ময়না রয়েছে। সরওয়ার আলম জানান, জব্দকৃত পাখিগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর কার্জন হল চত্বরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ মোতাবেক সকল ধরণের বন্যপ্রাণি ক্রয়-বিক্রয়, বহন, পরিবহন, আটক, শিকার, ভক্ষণ ইত্যাদি দণ্ডনীয় অপরাধ।
আটককৃত জিয়াউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা এ সমস্ত পাখি উত্তরাঞ্চলের বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর থেকে শিকার করে তার নিকট বিক্রয় করে। পরে এগুলো ঢাকার বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করেন জিয়াউর।
অভিযান সম্পর্কে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলম বলেন, অবৈধভাবে পাখি শিকার ও বিক্রি একটা সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমরা পুরো চক্রটিকে ধরার চেষ্টা করছি। আটককৃত জিয়াউরকে এর আগেও একই অপরাধে ৬ মাসের দণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
সাভারে অভিযানকালে বন্যপ্রাণী নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের বন্যপ্রাণি পরিদর্শক অসীম মল্লিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/ইফতি