আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বিচারকদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার দফতর এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের জন্য জায়গার সংকট আছে। আপিল বিভাগ মিলে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যে জায়গা দরকার, তা নেই। আর এতে বিচারকাজ পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য ট্রাইব্যুনালটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য সোমবার আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা কমিয়ে একটি করা হয়। তারও আগে, ২০১০ সালে একটি ট্রাইব্যুনাল দিয়ে এই বিচার শুরু হলেও কাজে গতি আনতে দুটি করা হয়েছিল। মামলার সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে তিন বছর পর ২০১৫ সালে দুটি ট্রাইব্যুনালকে একত্রিত করা হয়।
এখন একক ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হক। তার সঙ্গে আছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।
একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ বিচারপতি নিজামুল হককে চেয়ারম্যান, বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ একেএম জহির আহমেদকে সদস্য করে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এরপর আরও তিনজনকে যোগ করে প্রথম ট্রাইব্যুনালের বিচারক এটিএম ফজলে কবীরকে চেয়ারম্যান করে ২০১২ সালের ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়।
ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দুটি ট্রাইব্যুনালে ২৬টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। রায়ে বিভিন্ন ধরণের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আসামিদের বেশিরভাগেরই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচ জনের ফাঁসি কার্যকরও হয়েছে।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি