তিন দিন বিরতির পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শেষ হয়েছে যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানি। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে রবিবার সকালে রিভিউ শুনানি শুরু হয়।
আগের দিনের ধারাবাহিকতায় মীর কাশেমের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এদিন তার বক্তব্যে র বাকি অংশ উপস্থাপন করেন।
এর আগে গত বুধবার আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন নাকচ করে রিভিউ শুনানি শুরু করে আদালত। সেদিন খন্দকার মাহবুব বক্তব্যন উপস্থাপন শুরু করার পর আদালত শুনানি রবিবার পর্যন্ত মুলতবি করে।
আপিল বিভাগের এ বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
তেষট্টি বছর বয়সী জামায়াত নেতা মীর কাশেম এখন আছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। তার মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনে আদালত কী সিদ্ধান্ত দেয়, তা জানার অপেক্ষায় রয়েছে পুরো বাংলাদেশ।
যুদ্ধাপরাধী কাশেমের শেষ আইনি সুযোগ এই রিভিউ আবেদন। এ আবেদনে রায়ের কোনো পরিবর্তন না হলে তার সামনে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ থাকবে।
রিভিউ খারিজ হলে এবং তিনি প্রাণভিক্ষা না চাইলে কিংবা আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কোনো বাধা থাকবে না।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাশেমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর গত ৮ মার্চ আপিলের রায়ে ওই সাজাই বহাল থাকে। ৬ জুন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্যস ১৯ জুন আবেদন করেন মীর কাশেম।
রাষ্ট্রপক্ষ এরপর রিভিউ শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন করে। এর ধারাবাহিকতায় ২১ জুন চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি নিয়মিত আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
দণ্ড মওকুফ চেয়ে ৮৬ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরেছেন মীর কাশেম। রিভিউ দায়েরের পর তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, এতে ‘ন্যায়বিচার’ পাবেন বলে তারা ‘প্রত্যাশা’ করছেন।
অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অতীত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ফৌজদারি মামলায় পুনর্বিবেচনায় রায় বদলের খুবই ‘খুবই সীমিত’।
বিবার্তা/জিয়া