মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কার্যক্রমে বাধা না দিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা একদিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বিটিআরসি গত বুধবার আপিল বিভাগে এ আবেদন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আদালতের রায় পক্ষে আসলে আজ রাতেই সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে চায় বিটিআরসি। এদিকে সিটিসেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিটিআরসি’র আপিলের ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ অবগত এবং রবিবার অনুষ্ঠিতব্য শুনানির জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু তা একদিন পিছিয়ে সোমবার করা হয়েছে।
মূলত অপারেটরটির কাছে দীর্ঘদিন থেকে বকেয়া ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা আদায় করতে না পেরে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘আইনানুযায়ী যেকোন অপারেটরের স্পেকট্রাম যেকোনো সময় বাজেয়াপ্ত করার সম্পূর্ণ ক্ষমতা বিটিআরসি রাখে। তারা সম্পূর্ণ আইন মতেই অপারেটরটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
অপারেটরটির স্পেকট্রাম ফেরত নিয়ে নেটওয়ার্ক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গত ১ আগস্ট পাবলিক নোটিশের মাধ্যমে সকলকে অবহিত করে বিটিআরসি। তখন গ্রাহকদেরকে অন্য অপারেটরে যাওয়ার জন্যে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়। যদিও পরে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৩ আগস্ট সময় বেঁধে দেয় সরকার। এর মধ্যে অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিলের কার্যক্রম শুরু করে কমিশন।
এরপর গত বুধবার সিটিসেল সেবা কার্যক্রম বন্ধ না করতে আবেদন করলে এক মাস সময় দেন উচ্চ আদালত। এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রবিবার চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের আদালতে আপিলের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা একদিন পিছিয়ে যায়।
বুধবার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। সিটিসেলের আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
বিবার্তা/উজ্জ্বল/যুথি