মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সারা দেশে হরতাল ডেকেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আর এ কারণে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে বুধবার বিশেষ আদালতে যাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
চেয়ারপারসনের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বুধবার দুই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে যেতে চেয়েছিলেন ম্যাডাম। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী বুধবার হরতাল ডেকেছে। তাই তিনি হাজিরা দিতে আদালতে যেতে পারছেন না। আমি এ বিষয়ে বিজ্ঞ বিচারককে আবহিত করা হয়েছে।’
ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার আদালতে জিয়া আরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল মামলার কার্যক্রম চলছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
২০১৫ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি