মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুরদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী তার কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন। সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি সময় চেয়েছেন। এমনটিই জানিয়েছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক।
প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, রিভিউ খারিজের রায় ও আদালতের আদেশ ট্রাইব্যুকনাল হয়ে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে কাশিমপুরে পৌঁছায়। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় সেই রায় ও আদেশ তারা ফাঁসির আসামি মীর কাশেম আলীকে পড়ে শোনান। আদালতের রায় তিনি জেনেছেন। এখন মার্সি পিটিশন করা না করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি সময় চেয়েছেন।
আদালতের সব বিচারিক প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাশেমের সামনে এখন কেবল ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগই বাকি। তিনি সেই সুযোগ নিতে চাইলে তার দরখাস্ত রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের পরই দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
কাশেম আবেদন না করলে, অথবা আবেদন করেও রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা না পেলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ দণ্ড কার্যকর করবে। তবে তার আগে স্বজনেরা কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ফাঁসির রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে মীর কাশেমের রিভিউ আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
বিবার্তা/আছিয়া/নিশি
>> মীর কাশেমের সামনে এখন ফাঁসির দড়ি