ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন সদস্যদের নিয়ে গঠিত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট তবারক হোসেন ও সুব্রত চৌধুরী। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের পক্ষে শুনানি করেন শম রেজাউল করিম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম নাজমুল হক।
আইনজীবী তবারক হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তিনটি সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ২ হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সব সুযোগ সুবিধা প্রদান ও যথাযথ সম্মান প্রদানের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
২০১৩ সালের ২৪ জুলাই এক প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। তবে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ওই প্রজ্ঞাপনকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
নতুন ওই প্রজ্ঞাপন জারির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার পঙ্কজ ভট্টাচার্য ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর রিট দায়ের করেন।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট নতুন প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করে রুল জারি করেন। রুলে নতুন প্রজ্ঞাপনটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সরকার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
সেই রুলের ওপর মঙ্গলবার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার আদালত তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দানের নির্দেশ প্রদান করেন।
বিবার্তা/রোকন/কাফী