অনিয়ম, অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি ও মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহারের দায়ে রাজধানীর ব্রাইটন ও পদ্মা জেনারেল হাসপাতালকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সরওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব-২ এর অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করে। এই সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব সূত্র জানায়, রাজধানীর সোনারগাঁও রোডের পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনাকালে চিকিৎসকের স্ক্যান করা ভুয়া স্বাক্ষরযুক্ত প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট, বিভিন্ন ডায়ানস্টিক টেস্টের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট দেখতে পায়। হাসপাতালে অনুমোদন ব্যতিত ব্লাড ব্যাংক পরিচালনা করে রোগীদের শরীরে রক্ত স্থানান্তর করা হচ্ছে।
এছাড়া অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ল্যাব পরিচালনা, এক্স-রে রুম অত্যন্ত নোংরা ও মানহীন, পার্কিং রুমকে এক্স-রে রুম হিসেবে ব্যবহার, অপারেশন থিয়েটার নোংরা ও ধুলোবালিযুক্ত। এছাড়া হাসপাতালের ফার্মেসিতে অবৈধভাবে বিদেশি আট ধরনের ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তারা এসব অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ও ফার্মেসির মালিক আবু সালেহ খান (৩০), ল্যাব ইনচার্জ কামাল হোসেন শিমুল (২৮), টেকনিশিয়ান মো. রবিউল ইসলাম (৫০) এবং রিসিপশনিস্ট মৃণাল সরকারকে (৩০) আটক করেন। বিদেশি আট প্রকার ওষুধ জব্দ করা হয়।
পরে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম আটককৃতদের দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ১৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
অপরদিকে অদক্ষ ব্যক্তি দ্বারা ল্যাব পরিচালনা করা, ফ্রিজের তাপমাত্রা সঠিক না থাকা, ল্যাবে সাধারণ ফ্রিজ ব্যবহার করা এবং ফ্রিজের ভেতর নোংরা ও অপরিষ্কার থাকায় হাতিরপুলে ব্রাইটন হাসপাতালকে ছয় লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিবার্তা/রোকন/কাফী