ভালোবাসারা এখন বড়োই নিষ্ঠুর, সাংঘাতিক স্বার্থপর সময়ের স্বরুপ
বিষন্ন বিকালের তুলিতে আঁকা
ধুম্রধূসর রঙটোপ অরুপ।
সন্ত্রাসের কালো থাবায় ভীত সন্ত্রস্ত বিদ্ধস্ত জনপদ,
চামড়াদের পোড়া গঁন্ধে টিয়ারশেল সাপটে আছে বেসমাল ছত্রভঙ্গ গলদ।
দেখেছি বেড়িবেষ্টিত আধ্যাত্মের ভাববাদী আচরণের আড়ষ্ট সম্মোহন,
দেখেছি উদ্ভ্রান্ত সময়ের পিঠে দুর্বিনীত ঘোরতর গতিহীন, স্বপ্নদের আত্মহনন।
দেখিনি আত্মাদের জাগরণ
হৃদয়ের খননে
দেখেছি উদ্বাস্তু আত্মাদের চিৎকার, স্বপ্নদের মৃত্যুবৎ দেহবিচ্ছন্ন বুননে।
দেহবিহীন দ্বিখণ্ডিত মস্তক পড়ে আছে গহীন জঙ্গলে
এলিয়নের সঙ্গী হতে চলেছে প্রাণ, ছুটেছে মঙ্গলে।
বিদীর্ণ হৃদয় অর্ধমৃত হয়ে পড়ে আছে আত্মাদের পাঠে
বুদ্ধিবৃত্তিরা হঠকারী সিদ্ধান্তে হাততালি দেয় চাটুকরের চাকচিক্যে মাঠে
অরণ্য আচ্ছাদিত বনজ্যোসনারা জড়িয়ে আছে আঁধারের ঝোঁপ-ঝাড়ে জন্মানো মান্দার কাঠে।
ধূ-ধূ চোখ পেরিয়ে যায় সুদূর আকাশে
সাদা মেঘ কেন এমন বর্ণধূসর ফ্যাকাশে!
বন্ধুকের বুলেট নল ছেড়ে চলে যায় দূরে,পড়ে থাকে শূন্য খোসাটা
তপ্ত ম্যাগজিনের খোঁপটা কাঁপে বারুদের সুরে।
কার আগে কে কারে মারবে ঘা, কুঁড়ালের কোঁপ
সত্যেরা সুন্দরের পিপাসায় নিচ্ছে প্রতিশোধ
বিবেকেরা আত্মগোপনে হারিয়েছে বোধ
সেই কষ্টেই স্নায়ুগুলো অতিকষ্টে
বোবাদের বেদনা বেবোধ।
চরম চশমকর, রক্তচোষা
মিথ্যাবাদী ঘাতক সময়ের উগ্রবাদ
দেবীর গায়ে দেখেছি রক্তছাপ
শিশুর ছোপ-ছোপ রক্তদাগে
ছত্রাক ও ফাঁঙ্গসের আবাদ
ভালোবাসারা আজও প্রেমহীন চাষাবাদ।
বিবার্তা/কাফী