আগামী বছর থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন ও পরিচালনার ভার প্রকাশকদের হাতে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। একই সঙ্গে গত বুধবার শিলাঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।
শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে বাংলা একাডেমির অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকাশকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
তারা বলেন, আগামী বছর থেকেই যেন মেলার ভার প্রকাশকদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়। কারণ, তারা মনে করেন বইমেলা প্রকাশকদের এবং বর্তমানে বইমেলা আয়োজনের সক্ষমতা অর্জন করেছে প্রকাশকরা।
এ ছাড়া প্রকাশকদের দাবি, বইমেলার বাকি ৩ দিন যেন মেলার সময় রাতে এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়। অর্থাৎ তাদের দাবি, মেলা যেন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেয় প্রকাশক সমিতি। সেখানে তারা ১২টি অভিযোগ আনেন। ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়, মেলায় বিভিন্ন স্টলে পাইরেটেড বই বিক্রি হচ্ছে। এমনকি ভারতীয় লেখকদের বই বেআইনিভাবে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন স্টলে। এছাড়া মেলার স্টলবিন্যাস, ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণে পানি ফেলার কাজ সুচারুরূপে না হওয়া, আলোকসজ্জায় ঘাটতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন তারা।
তবে ওই দিনই বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান প্রকাশকদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘তারা মেলা করুক না, দেখা যাবে। আগামী বছর তাদের হাতে বইমেলা ছেড়ে দেব। দেখি কী করতে পারে। তারা কোনো দায়িত্বের বেলায় নেই, শুধুই অভিযোগ করে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অনুপম প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী মিলন কান্তি নাথ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সমিতির সভাপতি ও আগামী প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ওসমান গনি।
বিবার্তা/আমিন/রয়েল