চিহ্নমেলা-বিশ্ববাঙলা যেন বিশ্বে বাঙালি লেখক-সম্পাদক-পঠকদের মধ্যে বিশ্ব বন্ধুত্বের ছোঁয়া। এখানে বাংলাদেশ-ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে অবস্থারনত বাঙালি সাহিত্য অনুরাগীদের দেখা হচ্ছে, সত্যিই অসাধারণ একটা পরিবেশ।
এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন কলকাতা থেকে চিহ্নমেলায় আগত কুবোপাখি নামে ছোট সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশক পারুমিতা ভট্টাচার্য।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে প্রকাশিত ছোট সাহিত্য পত্রিকা চিহ্নর উদ্যোগে ‘চিহ্নমেলা বিশ্ববাঙলা’ লেখক-সম্পাদক-পাঠকের দুইদিনব্যাপী সম্মিলন শহীদুল্লাহ কলাভবন চত্বরে সোমবার শুরু হয়েছে।
এ মেলায় দেশ ও দেশের বাইরে থেকে তিন শতাধিক লেখক-সম্পাদক-প্রকাশক উপস্থিত হয়েছেন। সর্বমোট ১১০টি ছোট কাগজের স্টল বসেছে।
সকাল ১০টায় চিহ্নর ১৬ বছর এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বিবেচনায় ১৬টি বেলুন ও ৭টি শান্তির পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন লেখক প্রফেসর এমিরেটাস আনিসুজ্জামান ও সেলিনা হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, সনৎকুমার সাহা, রাবি ভিসি প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, প্রো-ভিসি প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, চিহ্নপ্রধান শহীদ ইকবাল প্রমুখ।
পরে লেখক, পাঠক ও সম্পাদকদের উপস্থিতিতে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
‘চিহ্নমেলা বিশ্ববাঙলা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের প্রথম দিনের কর্মসূচিতে রয়েছে বাঙালির চোখে শ্রেষ্ঠ বাঙালি শীর্ষক ‘আড্ডা’, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণে ‘মার্চের কবিতা’, লেখক-পাঠক-সম্পাদক শীর্ষক ‘আড্ডা’, কবি কণ্ঠে কবিতাপাঠ ও বাউল এবং ভাওয়াইয়া গানের আস।
ছোট কাগজের এ মেলায় সোম ও মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা বিরতিহীনভাবে চলবে প্রদর্শনী, ক্রয়-বিক্রয় ও মতবিনিময়।
উল্লেখ্য, রাবি থেকে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা চিহ্ন তৃতীয়বরের মতো এ মেলার আয়োজন করেছে। এর আগে দুইবার ২০১১ সালে ও ২০১৩ সালে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
বিবার্তা/নাঈম/কাফী