হাঙ্গেরিয়ান সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী লেখক ইমরে কারতেজ আর নেই। বেশ কিছুাদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেনস কারতেজ। বার্ধক্যজনিত কারণে বৃহস্পতিবার ভোর রাত চারটায় বুদাপেস্টে কারতেজ নিজ বাড়িতে মারা যান। এসময় তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
হাঙ্গেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জেসন আদের বলেছেন, ‘কারতেজের জীবনটা উপহার ছিল সেসব মানুষের জন্য, যারা তাকে ভালোবাসতেন, তাকে চিনতেন, তার লেখা পড়তেন ও বুঝতেন। অন্য যে কারো চেয়ে তিনি তীক্ষভাবে বুঝতে পারতেন এবং অন্যদেরও তা দেখিয়ে দিতে তার দক্ষতা ছিল অসাধারণ।’
দেশটির প্রধানমন্ত্রীও কারতেজের কাজকে কালজয়ী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কারতেজ তার বিশ্বজয়ী লেখাগুলোর মধ্য দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোনো প্রকারের স্বৈরশাসনই মানুষের বাঁচার ইচ্ছা এবং স্বাধীনতার প্রতি বাসনাকে দমিয়ে রাখতে পারে না।’
কারতেজ ১৯২৯ সালে বুদাপেস্টে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম উপন্যাস ফেটলেস’ প্রকাশের পরপরই তিনি বিশ্ববাসীর নজর কাড়তে সমর্থ হন। উপন্যাসটিতে পোল্যান্ডের জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বন্দিশিবির আউশভিতজের ভয়াবহ কাহিনী তুলে ধরা হয়। শিবিরটিতে নির্মমভাবে প্রায় ১০ লাখের বেশি ইহুদি ও আরো অনেককে হত্যা করা হয়। ২০০২ সালে নোবেল পুরস্কারের জন্য কারতেজকে বিবেচনা করা প্রসঙ্গে বিচারকেরা বলেছিলে, কারতেজের লেখায় মানুষ কত নির্মম হতে পারে সেটাই দেখানো হয়েছে।
কারতেজের প্রথম উপন্যাস ‘ফেটলেস’ পরে হাঙ্গেরির বিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়। এটি থেকে চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়। সেই ছবির চিত্রনাট্যও কারতেজ লিখেছিলেন। শুধু নোবেল পুরস্কারই নয়, বহু রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের মাধ্যমেও সম্মানিত করা হয় এ কালজয়ী লেখককে। সূত্র: ইয়াহু নিউজ।
বিবার্তা/ফারিজ