কে বলে শ্রমিক তোমায়, কে বলে তোমায় মজুর
সভ্যতারে দিয়েছ তুমি তোমার শ্রমের সুর
দিনের শুরু, কিংবা ইতিহাসের
সর্বাগ্রে ছিলে তুমি, কিংবা তোমার হাতিয়ার
কাস্তে, কোদাল আর নিষ্ঠার ঘাম।
কে বলে একা তুমি, কে বলে অসহায়
তোমার ছোয়ায় যে মরুতে ঝরণা বহে
সাগর শুকায়ে বন্দর, মানুষ তো তুচ্ছ খুবই
ঈশ্বর তোমার সহায়।
প্রিয় নবী (স.) থেকে সেদিনের লিংকন
দাসপ্রথা তো দূর হয়েছে, দাসত্ব বেড়েছে শতগুণ।
মানুষ ভাবতে ভুলে যাই তোমায়
ভেবেছি শুধু তোমার মজুরি,
অথচ তোমার লবনাক্ত ঘামের ঋণ কি কভু শোধরায়?
ভেবেছি শুধু আপন স্বার্থ আর, আপন কাজের ভালো
দেখেছি কি কেউ কিভাবে আমার ভাইটি রবে ভালো?
আর কতকাল রবে এমনই
আর কতদিন থাকবে মনিবের দেয়ালে বন্দি!
শিকল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসো
এক হও সব যোদ্ধা
তোমার পক্ষে সবাই আছে
জ্ঞানী গুণী আর বোদ্ধা
বিপ্লব নয়, বিল্পবী চাই
তোমার মধ্যেই সভ্যতার কারিগর চাই!
সম অধিকার নারী পুরুষে,
বিশ্বাস করি না এই নীতিতে
মানুষে মানুষে সম অধিকার,
হোক সেটা মালিকের আর শ্রমিকের!
ধিক্কার হয়ে ফিরে আসে,
যখন শিশুর কোমল হাতের
ফোসকাগুলো প্রতিবাদী হয়ে ওঠে
কী জবাব আছে হে মালিক তোমার
ওই কোমল শিশুর নিঃশ্বাসের!
মানুষের জন্য মানুষ বাঁচবে,
মানুষই বাঁচাবে পৃথিবী
শক্ত হাতের নিপুণ ছোয়ায় ধরনী সাজাবে নিরবধি।
তোমরা যদি মালিক হও,
শ্রমিকরা তোমার সহযোদ্ধা
এগিয়ে যেতে দুজন দুজনার পরিপূরক,
কেউই কিন্তু তুচ্ছ মুখাপেক্ষী না।
উন্নয়নের জয় হোক স্লোগান
তখনই শোভা পায় কণ্ঠে
জয়গান যখন দিনমজুরের
আর তার প্রতিটি ঘামের বিন্দুর!
লেখক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী
বিবার্তা/ফারিজ/কাফী