২০ মে থেকে ঢাকার গ্যালারি টুয়েন্টি ওয়ানে শুরু হয়েছে শিল্পী অসীম হালদার সাগরের একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। ‘মুভিং রুটস’ শিরোনামের এই প্রদর্শনীটি চলবে ৩ জুন পর্যন্ত। শিল্পীর তৃতীয় একক প্রদর্শনী এটি।
প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া কাজগুলোর মধ্যে সব কটিই সিরামিক স্কাল্পচার। কিছু স্কাল্পচার দেখা গেছে মানুষের মাথা থেকে গাছ বের হচ্ছে, আবার কোনটিতে ফুলদানি থেকে উড়ে যাচ্ছে পাখি।
‘আমরা অনেক সংকীর্ণতা নিয়ে বড় হচ্ছি, অস্থির জীবনযাপন করছি। আমি প্রকৃতির সাথে, পরিবেশের সাথে মানুষ বা প্রাণীর সাথে শান্তিপূর্ণ সহজ জীবনচিত্র ক্যামন হতে পারে তা তুলে ধরেছি আমার কাজের মাধ্যমে। তা কখনো রূপক অর্থে, কখনো সরাসরি’- এরকমটাই জানালেন নিজের প্রদর্শনীর মূল বক্তব্যে শিল্পী অসীম হালদার সাগর।
গ্রামে বড় হওয়া এই শিল্পীকে প্রকৃতি টানে প্রতিনিয়ত। সমুদ্র আর সবুজ মনে ঘোরে সবসময়। তার ধারণা গাছপাখি এদেরও প্রাণ আছে মানুষের মত। তাদেরও স্বাধীনতা দরকার। বসবাসযোগ্য একটা সমাজ, দেশ আর পরিবেশের কথা চিন্তা করেই তার স্কাল্পচারগুলো তৈরি করেন। সে জায়গা থেকে মানুষের সাথে প্রকৃতি, গাছ, পাখি কল্পনার বন্ধনকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন বলেও জানালেন। মানুষ বা প্রাণীর মুক্তি হোক, প্রকৃতির সাথে হোক শান্তিপূর্ণ বসবাস- আশা করেন এই শিল্পী।
তার ভাষ্য মতে, প্রকৃতিকে উপজীব্য করে শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থায়, মানুষ প্রকৃতি প্রাণির এক ধরনের মেলবন্ধন উপস্থাপন করা হয়েছে। এই সিরামিক আর্টিস্ট সিরামিক মিডিয়া ছাড়াও পারফর্মিং আর্ট, ইন্সটলেশন, ভিডিও আর্ট নিয়ে কাজ করেন। জাপানিজ রাকু নিয়েও কাজ করেছেন এর আগে। এই প্রদর্শনীর স্কাল্পচারগুলো ক্রিস্টালাইন গ্লেজ, ক্র্যাক গ্লেজ, সলট গ্লেজ, ওয়েল স্পট গ্লেজ দিয়ে তৈরি।
শিল্পি অসীম হালদার সাগরের সিরামিক মিডিয়ায় স্কাল্পচার করার ধারণা একেবারেই নতুন এবং আলাদা। তার প্রথম একক প্রদর্শনী প্রদর্শিত হয় ২০১০ সালে। পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃৎশিল্প বিভাগে। জন্ম ১৯৮৩ সালে, বেড়ে ওঠা ঝালকাঠি জেলায়।এই শিল্পীর ইচ্ছা একটা বড় সিরামিক স্টুডিও করা যেখানে কাজ করবার সুবিধা পাবে সুবিধা বঞ্চিত সিরামিক আর্টস্টরা।
বিবার্তা/রুবা/জিয়া