চলো বেরিয়ে পড়ি
আবার কোনো এক ১৬ ডিসেম্বরে।
আমি আবারো পরে নেবো
কালো জমিনে লাল-নীল রঙা সেই শাড়িটা।
তুমি পরবে জামার ওপরে মোটা সেই চাদরখানি,
কারণ শীতটা বেশ জাঁকিয়ে বসেছে।
এবার না-হয় ইচ্ছে করেই শাড়ির আঁচলটা খাটো রাখবো,
তুমি মুচকি হেসে বলবে, ঠিকই আছে।
তারপর দু’জনে মিলে বেরিয়ে পড়বো
ফের কোনো অজানা গন্তব্যে।
হাঁটতে হাঁটতে যখন আমাদের দু’পা জমে যাবে
তখন এই চেনা শহরেরই
কোনো এক উদ্যানে এক চিলতে সবুজ খুঁজে
বসে পড়বো দু’পা ছড়িয়ে।
মিষ্টি শাসনের ভঙ্গিতে তুমি
আবারো না হয় আরেকবার বলবে,
এখনো বড্ড ছেলে মানুষ তুমি, কিচ্ছুটি শিখছো না,
ওভাবে বসতে নেই।
যদি হয়ে যায় কখনো ছাড়াছাড়ি
কে দেখে রাখবে তোমায়
আমি নিশ্চিন্ত কণ্ঠে বলবো,
আমার বয়েই গেছে তোমাকে হারাবার।
বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে
কতই না অর্থহীন আলাপ করবো ফের
সন্ধ্যে নেমে এলে
ফিরে আসবো চেনা সেই গন্তব্যে।
দু’জনের চেনা সেই বাগান থেকে গোলাপ ছিঁড়বো
নীল, গোলাপি আর লাল রঙা
আমার খোঁপায় সেই ফুল তুমি গুজে দেবে পরম যত্নে
মুগ্ধ হয়ে বলবে বেশ লাগছে
লাজুক ভঙ্গিতে আমি তাকাবো দারুণ শ্রদ্ধায়
তারপর...
তারপর কী হবে
সেটা না-হয়, তুমিই ঠিক করো।
কিন্তু চলো না ফের বেরিয়ে পড়ি আবার
তুমি বলবে, আর আমি শুনবো
আমারটা, তুমি
সেই অর্থহীন বাক্যালাপ।
এত সব ব্যস্ততার ভীড়ে
বের কী করা যায় না একটি মাত্র বিকেল
মাথার দিব্বি, আর কিচ্ছুটি চাই না, তোমার কাছে
শুধু একটি বিকেলের আবদার
ভেবে দেখো…..।
বিবার্তা/ফারিজ/জিয়া