মনে বড্ড ইচ্ছে হয় রঙ্গিন ঘুড়ি হব,
ঘুড়ির পীঠে সওয়ার হয়ে সাদা মেঘ ছুঁবো।
প্রজাপতির পাখা হয়ে বসি ফুলে ফুলে,
উর্মিমালার শৃঙ্গ হয়ে আছড়ে পড়ি কূলে।
বৃষ্টি ভেজা হাওয়া হব, ঝিরিঝিরি মন জুড়াবো,
তিতাস পাড়ের বিকেল হব, কায়েস মনে শ্রান্তি দেবো।
মাছ-রাঙ্গার শিকার সেজে খেলবো লুকোচুরি,
সাদা বকের স্বপ্ন-ডানায় মেঘে দেবো পাড়ি।
রংধনুর রং ছুঁবো, গোধুলীর লগন;
লাল-টিপের রাঙ্গা প্রভাত, জ্যোৎস্না তারার গগন।
কালো কেশের খোপা হবো, ফণী মাথার মনি;
অর্ধাঙ্গিনীর অতীব ধনী, মায়ের চোখের মনি।
তারুণ্যের স্ফুলিঙ্গ হবো, যাতনার যতি;
যৌবনের হবো নদী, কামনার রতি।
সুখের শুভ্র পায়রা হবো, মায়ার বন্ধন রাখী;
প্রেমানলের ভস্ম হয়ে মাখবো কাজল আখিঁ।
সাদা মনের যতো চাওয়া- মাঝ দরিয়ার মাঝি হওয়া, পালের হব হাওয়া;
মনের সুখে গেয়ে যাবো ভাটিয়ালী- ভাওয়া।
উত্তাল নদীর বীচি হবো, সর্বংসহা তীর;
ভাঙ্গা-গড়ার করুণ-যুদ্ধে বিধিই নায়ক, বিধিই মহাবীর।
কুমারের মাটির কলস, উঠবো বধুর কাঁধে;
মাল্লার হাতের ঝল্লা হবো টানবে মনের স্বাধে।
ছলছলিয়ে চলে তরী নদীর বাকেঁ বাকেঁ,
মাল্লা মনে সুখ পায়,পল্লীবধুর স্নান দেখে নদীর ঘাটে ঘাটে।
রাজাকারের রায়ের ফরমান, ফাসিঁ-কাষ্টের রশি;
পাইলে তারে ভেংচি দেবো, বীরাঙ্গনার খুশী।
ফুটবলের গোল হব, ক্রিকেটের ছক্কা;
ম্যাচ পাতিলে সাক্ষী হব, পাবেনা-তো রক্ষা।
বিনোদিনীর মন হয়ে মজবো সারা বেলা,
বৃদ্ধার হবো ভীমরতি, শিশুর দেয়ালা।
চাঁদের হাটে আড্ডা দেব, বসবে স্বজন মেলা;
দিদি-মনির লাঠি হবো জীবন শেষের বেলা।
বিবার্তা/মৌসুমী