প্রবৃত্তির কথা বলছি, যাপিত জীবনে যার চিতায় জ্বলছি;
সু-কু প্রবৃত্তির ধরণ নিরবধি করছে দহন।
হৃদয়ের গহীনে ঘাপটি মেরে থাকা সুপ্ত ধারালো অসি,
যত্র তত্র কাটছে, ক্ষত-বিক্ষত মনে হঠাৎ পুনঃভাসি;
প্রয়াসে কপালে দীন যদি হয় কভু ধনী লোক,
হাজার বছর পরে আচারে হঠাৎ মূর্ত হয়ে উঠে তারই হীন মুখ।
নিয়তির নির্মম কষাঘাতে ধনী যদি কভু হয় সর্বহারা,
নিজ নিলয় ছেড়ে কুড়ে ঘরে বসত যদিও ভাড়া,
যুগ যুগান্তরে বহুকাল পরে---
ক্ষুধা-পীড়িত-ক্লান্ত-বদনে ধনীর ধারিত গুণ দেয় ধরা।
স্বয়ংবরা-রামা বসে আঙ্গিনায় ভাবে বেজায় ভারী,
ছেলেকে দেবো যে নিকা, বউমা কী মোরে যাবে ছাড়ি?
কেড়ে এনেছিলুম স্বামী একদা আপন সুখের তরে,
বৃদ্ধ শ্বশুর কতো অযত্নে, কষ্ট যাতনায় মরে।
জীবনের এই ক্ষণে--শুধুই কেঁদে ভাসি আখি জলে,
উন্নত জীবনের তরে সন্তানেরা গেলো মোরে একেলা ফেলে।
প্রশ্নবাণে ভাসি, উদার কী করেছে চিত্ত মহা-বিদ্যার মসি?
কুড়ে কুড়ে খায় বিখন্ডিত মন সদা কুপ্রবৃত্তির অসি।
মোরা মানুষ দাবি করি, ছলে বশি, সর্বধা লোভের অংক কষি;
কোন পথে ভেদি মোহের মহা-রশ্মি, মোরা প্রবৃত্তিরই দাসী।
বিবার্তা/মৌসুমী