উন্নয়ন চাইলে শুধু আগামী নির্বাচন নয়, তার পরের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন সেমিনার কক্ষে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ পরিষদ আয়োজিত ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি ও অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এইচটি ইমাম বলেন, আজকে যদি বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার চিন্তা করা হয়, তাহলে আমি মনে করি আওয়ামী লীগকে শুধু আগামী নির্বাচন নয়, তার পরের নির্বাচনেও ক্ষমতায় আনতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে আমাদের সব অর্জন বিনষ্ট হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন দেখেছি, সেখানে আমরা আর ফিরে যেতে চাই না। আমরা একটি উন্নত বাংলাদেশ চাই। আমার বিশ্বাস এভাবে চলতে থাকলে অবশ্যই ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলেই জনগণ কিছু পায়, না হলে কেউ কিছুই পায় না। শেখ হাসিনা মানুষের অভাব দূর করেছেন। আগে মানুষ আমার কাছে শাড়ি, লুঙ্গি বা চালের জন্য আসত। আর এখন তারা কেউ ল্যাপটপ, কেউ কম্পিউটার বা কেউ বিদ্যুৎ চায়।
সাবেক এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময়ে এ দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটি বেড়ে দাড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার। দেশের সব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অামূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনা করে হেলথ ইনস্যুরেন্স কার্ড করারও পরিকল্পনা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সমাজ বিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ড. বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাব্লু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ডা. রশিদী মাহবুব।
বিবার্তা/ওরিন/কাফী