১৪ দলের সমন্বয়ক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে অতি স্বল্প সময়ে দেশে জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব হয়েছে। যা মডেল হিসাবে বিশ্ব নেতৃবৃন্দেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
রবিবার বিকেল ৪টায় জয়পুরহাট শহরের শহীদ ডা: আবুল কাশেম ময়দানে স্থানীয় ১৪ দল আয়োজিত জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জঙ্গিবাদ, সস্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জাতীয় গণজাগরণ ও প্রতিরোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসাবে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পনায় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলার মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিএনপি এখন দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।
সংবিধান মোতাবেক ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অসাংবিধানিক কারো অধীনে ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচন নয়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সঠিক ছিল উল্লেখ করে ১৪ দলের সমন্বয়ক বলেন, ওই নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হতো। অসাংবিধানিক সরকার বা সামরিক শাসন আসলে দেশে কোনো রাজনীতি ও গণতন্ত্র থাকতো না।
জয়পুরহাট জেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে জাসদ (ইনু) স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন, ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য এম এ গনি, গণআজাদী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আতাউল্যা খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু এমপি, ওয়াকার্স পার্টির নেতা আনোয়ারুল হক বাবলু, জেলা জাসদের সভাপতি আবুল খায়ের মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ স্থানীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
বিবার্তা/আমিন/রয়েল