মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। ডিএসই ও ব্রোকার হাউজ লংকাবাংলা সিকিউরিটিসের সাপ্তাহিক বিশ্লেষণে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
সাপ্তাহিক বিশ্লেষণটিতে বলা হয়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ১৯টি ক্ষেত্রের মধ্যে ১১টিতেই ইতিবাচক উন্নতি হয়েছে। বাকিগুলোতে খানিকটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
প্রথমসারির ব্রোকারেজ ফার্মের একজন বিশ্লেষক বলেন, বিনিয়োগকারীরা টেলিযোগাযোগ, এনবিএফআই, খাদ্য এবং খাদ্যজাতীয় পণ্যগুলো ছাড়া অধিকাংশ বড় বড় খাতগুলোতে যথেষ্ট মনোযোগী হয়েছেন।
এনবিএফআই, খাদ্য এবং খাদ্যজাতীয় পণ্যগুলোতে ২.০২ শতাংশ, ০.৬৯ শতাংশ এবং ০.৪৩ শতাংশ হারে কমে গেছে।
অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে এমন খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে সিমেন্ট খাত। এ খাতটিতে অগ্রগতি হয়েছে ৬.০৩ শতাংশ। এ খাতের মধ্যে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট সবচেয়ে এগিয়ে। এ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭.৬০ শতাংশ। ৬.৮০ শতাংশ ও ৬.৭০ শতাংশ দর বাড়ায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে অ্যারামিট ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট। এরপরেই আছে মেঘনা সিমেন্ট, এমআই সিমেন্ট, কনফিডেন্স এবং হেইডেলবার্গ সিমেন্ট।
এছাড়া শেয়ারের দাম বেড়েছে এমন খাতগুলো হলো পাট (১.৭০ শতাংশ), মিউচুয়াল ফান্ড (১.৪১ শতাংশ), জ্বালানি ও বিদ্যুৎ (০.৯৮ শতাংশ), ইঞ্জিনিয়ারিং (০.৯৩ শতাংশ), টেক্সটাইল (০.৭৩শতাংশ), ফার্মাসিউটিক্যালস (০.৪৬শতাংশ), ট্যানারি (০.২৬শতাংশ), সার্ভিস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট (০.০১ শতাংশ) ও বিবিধ (০.৯৫ শতাংশ)।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে যে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হলো তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি (৭ শতাংশ), বলাকা পাওয়ার (৬.১০ শতাংশ), এমজিএল বাংলাদেশ (৪.২০ শতাংশ), ডেসকো (৩.৭০ শতাংশ), ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্ট (৩.৪০ শতাংশ), যমুনা ওয়েল (২.৩০ শতাংশ) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (১.৯০ শতাংশ)।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ারের দাম বেড়েছে উত্তরা ব্যাংকের, ১২.১০ শতাংশ। এরপরেই আছে ট্রাস্ট ব্যাংক (৬.০ শতাংশ), ইসলামী ব্যাংক (৩.২০ শতাংশ), ব্রাক ব্যাংক (২.৯০ শতাংশ), ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (২.৪০ শতাংশ), ডাচ বাংলা ব্যাংক (২.৪০ শতাংশ), এনসিসি ব্যাংক (২.২০ শতাংশ) এবং এসআইবিএল (২.১০ শতাংশ)।
বিবার্তা/ফারিজ/মৌসুমী