জীবনে প্লেনে কতবার চড়েছেন? নাকি এখনও একবারও চড়ার সুযোগ হয়নি। সে যাই হোক প্লেন নিয়ে জেনে নিন ১০টি অবাক করা তথ্য।
১. প্লেনে টেক অফ করার সময়টা সফরের সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়। বিশ্বের বেশির ভাগ বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে বিমান ছাড়ার তিন মিনিটের মধ্যে অথবা ল্যান্ডিং বা নামার ৯ মিনিটের মধ্যে।
২. আকাশে ভ্রমণ করলে গড়ে তিন ঘণ্টার সফরে শরীর থেকে দেড় লিটার পানি ব্যয় হয়।
৩. শিকাগোর ও'হ্যারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতি ৩৭ সেকেন্ড অন্তর প্লেন ওঠানামা করে।
৪. সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন প্রতি বছর খাবারের জন্য ৭০ কোটি টাকা খরচ করে। যার মধ্যে ১৬ লাখ টাকা শুধু ওয়াইনের জন্য খরচ করে।
৫. ফুড পয়েজিনিংয়ের ভয়ে পাইলট আর কো পাইলট কখনই প্লেনে একই খাবার খান না।
৬. প্লেন চালানোর টেকনোলজিতে পাইলটের বিশেষ দরকার হয় না। শুধু টেকনোলজির মাধ্যমে বিশ্বের যে প্রান্তে চলতে পারে প্লেন। কিন্তু মেশিন, কম্পিউটার বিগড়ে যাওয়ার ভয়ে পাইলট রাখতেই হয়।
৭. প্লেনের ‘ইমার্জেন্সি ডোর’ বা আপদকালীন দরজা খুলে গেলে মহাবিপদ। আকাশের বরফ হাওয়া যাত্রীদের জমিয়ে মেরে ফেলবে, তারপর প্লেন তো হাওয়ার চাপে ভেঙে পড়বে।
৮. একই শিশু দুবার প্লেন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায়। ২০০৩ সালে অস্কার নামের এক তিন বছরের শিশু বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা থেকে শিশুটি দৈবাৎ বেঁচে যায়। তবে তার মা ও ভাইরা মারা যায়। ৮ বছর বাদে সেই শিশুটি বড় হয়ে বাবার সঙ্গে বাস্কেটবলের দলে খেলার জন্য প্লেনে ওঠে। আলাস্কায় সেই প্লেন দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। মারা যায় ছেলেটির বাবা ও সৎ মা। ছেলেটি ৬ মাস কোমায় থাকার পর বেঁচে ফেরে।
৯. বিমান দুর্ঘটনায় মরার সম্ভাবনা ১০০ কোটিতে একবার। কিন্তু প্লেনে চড়ার ভয় বা আতঙ্ক খুবই সাধারণ একটা ফোবিয়া।
১০. প্লেনে যে ইমার্জেন্সি অক্সিজেন মাস্ক দেয়া হয় তা চলে মাত্র ১৫ মিনিট। যে কারণ ইমার্জেন্সির সময় বিমানবালারা বলেন, পনেরো মিনিটের মধ্যেই আমরা বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারব।
বিবার্তা/জিয়া