বিখ্যাতরা সবসময়েই আমাদের অনুকরণীয় আর অনুসরণীয় হয়ে থাকেন। সাধারণ মানুষের আদর্শ হিসেবে নিজেদেরকে তৈরি করে তোলেন তারা। তাদের ভালো কাজগুলো সবসময়েই অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকে আমাদের। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই বিখ্যাত মানুষগুলোর ভেতরেও রয়েছে অদ্ভূত আর অন্যরকম কিছু অভ্যাস, যেটা কিনা আপনার কাছে নিছক পাগলামি ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না। এই যেমন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। কখনো কি ভাবতে পেরেছেন যে, পৃথিবীখ্যাত এই রাণীর অন্যতম পছন্দের কাজ বাদুড় ধরা? কিংবা নরেন্দ্র মোদীর কথাই ভাবুন। সেলফি রোগে যে এই বিখ্যাত রাজনীতিবিদও আক্রান্ত সেটা কে জানতো! আসুন জেনে নিই বিখ্যাতদের এমনই কিছু অবাক করার মতন অভ্যাসকে।
কিশোর কুমার: কিশোর কুমারের কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ হননি এমন খুব কম মানুষই আছেন। বছরের পর বছর ধরে নিজের গানে মাতিয়ে রেখেছেন তিনি আমাদের। শুধু নিজের প্রজন্মকেই নয়, এই প্রজন্মকেও পরিচিত করে তুলেছেন নিজের কণ্ঠের সাথে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই বিখ্যাত গায়কের খুব অদ্ভুত এক অভ্যাস ছিল? আর অভ্যাসটি হচ্ছে গাছের সাথে কথা বলা। গাছ ছাড়া আর কাউকেই নিজের বন্ধু বলে ভাবতেন না কিশোর কুমার। আর তাই সময় পেলেই ছুটে যেতেন গাছের সাথে গল্প করতে। সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস।
ডেমি মুর: অভিনেত্রী হিসেবে ডেমি মুরের সুখ্যাতি রয়েছে হলিউড ছাপিয়েও বিশ্বের সব স্থানে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই অসাধারণ সুন্দরী অভিনেত্রীর গা শিউরে ওঠার মতন একটি অভ্যাস হচ্ছে নিজের শরীরে জোঁক ছেড়ে দেওয়া! শুনতে ভয়ংকর মনে হলেও মাঝে মাঝেই নিজের শরীরে রক্তচোষা জোঁক ছেড়ে দেন ডেমি মুর (ডেইলি নিউজ)। তবে খুব বেশি রক্ত পান করতে দেন না তিনি এদের।
স্টিভ জবস: খাদ্যপ্রেমিক না বলে বরং অনেকটা খাবারের প্রতি দুর্বলতায় ভোগার খ্যাতি দেয়া যেতে পারে এই বিখ্যাত মানুষটিকে। কোন একটা খাবার একবার খেলে সেটা বারবার খাবার অভ্যাস ছিল জবসের। এই যেমন- একবার গাজর খাওয়া শুরু করেন তিনি। আর সেটা এত বেশি পরিমাণে টানা খেয়ে ফেলেন যে শেষ অব্দি তার গায়ের রং অনেকটা কমলা বর্ণ ধারণ করে। সাধারণত একবার কোন খাবার খাওয়া শুরু করলে পুরো সপ্তাহ টানা কেবল সেই খাবারটিই খেতেন জবস (ইনক)।
নরেন্দ্র মোদী: ভারতের এই রাজনীতিবিদ এমনিতে খুব সাদাসিধে হলেও পোশাক আর সেলফির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন তিনি। একদিনে নিজের স্পেশাল অর্ডার দিয়ে বানানো কুর্তা ৫০০ টি সর্বোচ্চ বদলাবার রেকর্ড রয়েছে তার (লিস্টভার্স)। প্রতিটি মিটিংয়ের আগেই একটি কুর্তা বদলান মোদী। আর সেখান থেকে এসেছে নতুন প্রজন্মের সেলফিপ্রীতিও!
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ: পশুপাখির প্রতি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের একটু অন্যরকম টান সেই ছোটবেলা থেকেই রয়েছে। এখনো তার সেই ভালোবাসা কমে যায়নি। প্রতিদিন বিকেলবেলায় একটা প্রজাপতি ধরার জাল নিয়ে প্রাসাদের ভেতরে তার অধীনে বাস করা বাদুড়দেরকে ধরেন তিনি আর মুক্ত করে দেন (লিস্টভার্স)। পরে রাতে তারা আবার ফেরত এলে পরদিন বিকেলে আবার তাদেরকে মুক্ত করে দেন রানী। প্রতি বিকেলেই এই কাজটি খুব শখ নিয়ে করে থাকেন তিনি।
বিবার্তা/জিয়া