মানুষ বরাবরই সৃষ্টির সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রাণী। কারণ মানুষের দেহ এবং মন দুটোর কোনোটিরই পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা বিজ্ঞান আজও দিতে পারেনি। বরং প্রতিনিয়তই মানুষের দেহ ও মন সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য হাজির হতে থাকে। এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা আপনার সাথে সম্পর্কিত কিন্তু আপনি নিজেই তা জানেন না। আজকে এমনই কিছু অদ্ভুত, চমকপ্রদ, অজানা তথ্য নিয়ে এই ফিচার। চলুন তাহলে নিজের সম্পর্কে কিছু অজানা বিষয় জেনে নিন।
১. আপনার মতো চেহারার প্রায় ৬ জন মানুষ রয়েছে পৃথিবীতে এবং আপনার পুরো জীবনে প্রায় ৯% সম্ভাবনা রয়েছে আপনার চেহারার কারো সাথে দেখা হওয়ার।
২. আপনি যদি দিনের প্রায় ১১ ঘণ্টা বসে কাটান তাহলে আপনার আগামী তিন বছরের মধ্যে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০%।
৩. বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস আপনার ঘাড় ও গলার ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এবং এর পাশাপাশি মেরুদণ্ড সুস্থ রাখে।
৪. একজন মানুষের উচ্চতা নির্ধারিত হয় তার বাবা ও তার ওজন নির্ধারিত হয় মায়ের মাধ্যমে।
৫. মানুষের মস্তিষ্ক ৩ টি জিনিসের দিক থেকে নজর ফেরাতে পারে না তা চোখের নজর হোক বা মনের নজর হোক। আর সে ৩ টি জিনিস হচ্ছে খাবার, আকর্ষণীয় মানুষ ও বিপদ।
৬. ডানহাতি মানুষেরা খাবার চিবোনোর সময় ডান চোয়াল ব্যবহার করেন।
৭. অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মতে, ‘যদি পৃথিবীতে মৌমাছি না থাকে তাহলে পৃথিবীর সব মানুষ ৪ বছরের মধ্যে মারা যাবে’।
৮. পৃথিবীতে এতো বেশি প্রজাতির আপেল রয়েছে যে, আপনি যদি প্রতিদিন ভিন্ন প্রজাতির ১ টি করে আপেল খান তারপরও সবপ্রজাতির আপেল খেতে আপনার ২০ বছর সময় লাগবে।
৯. আপনি খাবার ছাড়া প্রায় ৪ সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ দিন বেঁচে থাকতে পারলেও ১১ দিন না ঘুমালে আপনার মৃত্যু অনিবার্য।
১০. যারা অনেক বেশি হাসেন তারা অন্যান্য মানুষের তুলনায় অনেক বেশি সুস্থ এবং ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী। বলা হয় হাসি বিষণ্ণতা রোগের সবচেয়ে বড় ওষুধ।
১১. ধূমপানের কারণে যতো মানুষ মারা যায় ঠিক ততো মানুষই অলসতা এবং পরিশ্রমবিহীন জীবনের জন্যও মারা যান।
১২. মানুষের মস্তিষ্ক উইকিপিডিয়াতে যতো তথ্য রয়েছে তার ৫ গুণ তথ্য ধারণ ক্ষমতা রাখে।
১৩. আমাদের দেহ ৩০ মিনিটে যতোটা তাপমাত্রা নির্গত করে তা দিয়ে দেড় লিটার পানি ফুটানো সম্ভব।
১৪). আমাদের পাকস্থলীতে যে অ্যাসিড রয়েছে তা রেজর ব্লেড গলিয়ে ফেলতে সক্ষম।
১৫. মানুষ আনমনে আপনার জুতোর দিকে নজর দেবেন এটি মানুষের প্রাকৃতিক একটি ব্যাপার। তাই সুন্দর জুতো পড়ুন। কারণ মানুষ অনেক সময় জুতো দেখেই ব্যক্তিত্ব নির্ধারণ করে ফেলেন।
বিবার্তা/জিয়া