আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া কত শত ঘটনা আছে। চারপাশে দেখা আছে কত কিছু। অথচ অতি সাধারন অনেক কিছুর মাঝেই যে অসাধারণ অনেক কিছু লুকিয়ে আছে তা হয়ত আমরা ভাবিও না। তাহলে চলুন তেমন কিছু তথ্য জেনে নেই কয়েক মিনিটে।
১. আপনি কি নিজেকে হৃদয়বান ভাবেন? মাত্র একটা হৃদপিণ্ড থাকাতে আপনি যদি হৃদয়বান হয়ে থাকেন তবে তো অক্টোপাস আপনার চেয়ে ঢের হৃদয়বান। কারণ তার হৃদপিণ্ড তিনটি!
২. কখনো এক চোখ খোলা রেখে ঘুমিয়েছেন? আপনাকে দিয়ে এটা সম্ভব না হলেও ডলফিনকে দিয়ে সম্ভব।
৩. জানেন কি, আমাদের ত্বকের প্রতি বর্গইঞ্চিতে প্রায় ৬২৫টি ঘামগ্রন্থি আছে। ওগুলো এতো সূক্ষ্ম যে আপনি গুনে দেখতে চাইলেও পারবেন না।
৪. একটা কথা কি জানেন হিমালয় পর্বতের যে উচ্চতা রয়েছে তা কিন্তু বাড়ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিবছর প্রায় ৪ মিলিমিটার করে বাড়ছে হিমালয়ের উচ্চতা!
৫. মানুষের নখ প্রতিদিন ০.০১৭১৫ ইঞ্চি করে বাড়ে।
৬. ভাবুন তো, এমন যদি হত যে আমরা নাকের বদলে পা দিয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছি! এই কাজ আমরা না করলেও স্যান্ড বারলার ক্র্যাব (এক প্রকার কাঁকড়া) তার পা দিয়েই বিশেষভাবে নিঃশ্বাস নেয়। কারণ তার নাক নেই।
৭. অজ্ঞান হয়ে গেলে তো আর আমাদের ঠিক থাকে না কোন দিকে কাত হয়ে পড়ি। কিন্তু পিপড়ারা বোধহয় একটু বেশি দিক সচেতন। কেননা, অজ্ঞান হয়ে উল্টে পড়ার সময় পিপঁড়ারা সবসময় তাদের ডান দিকে পড়ে।
৮. কাউকে বোকা বলতে আমরা বলি, তোর মাথায় ঘিলু বা মগজ মনে হয় কম। সে হিসেবে, স্টার ফিশগুলো কিন্তু মস্ত বোকা। ওদের কোন মগজই নেই।
৯. হাসাহাসি করা কিন্তু সোজা না। সে আপনি মুচকি হা্সেন আর হো হো করে হাসেন, প্রতিবার হাসার সময় মুখের কমপক্ষে ৫ জোড়া মাংসপেশি আপনাকে ব্যবহার করতে হয়। আর বেশি হাসি পেলে তো মোট ৫৩টা পেশি লাগবে।
১০. ইংরেজিতে ছাপা প্রথম বইয়ের নাম ছিল ‘দি রেকুইয়েল অব দি হিস্টোরিয়েস অব ট্রয়’ (The Recuyell of the Historyes of Troye)। এই বইটি ছাপা হয় ১৪৭৫ সালে আর লেখক ছিলেন উইলিয়াম ক্যাক্সটন।
১১. জানেনই তো একজন মানুষের আঙুলের ছাপ আরেকজন মানুষের চেয়ে ভিন্নতর। তেমনি ঠোঁটের ছাপও একজনের চেয়ে আরেকজনেরটা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন!
বিবার্তা/জিয়া