এই পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের এমন অনেক বিস্ময়কর তথ্য আছে যা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। এর কোনটি শুনলে হয়তোবা আপনি অবাক হবেন, আবার কোন কোনটি শুনে নিজের অজান্তেই হেসে উঠবেন। আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি এমনই কিছু বিস্ময়কর তথ্য:
১. একটি জাম্বো জেটে যে পরিমাণ জ্বালানি থাকে, তা দিয়ে একটি সাধারণ গাড়ি চারবার পৃথিবী ঘুরে আসতে পারবে।
২. একজন ব্যক্তি গড়ে প্রতিদিন এক গ্যালনের এক চতুর্থাংশ শ্লেষ্মা গিলে ফেলে।
৩. মহাশূন্যে এমন এক পানির আধার ভাসমান অবস্থায় আছে যা সূর্যের তুলনায় ১ লাখ গুণ বড় এবং সেখানে আছে পৃথিবীর সব মহাসাগরে থাকা পানির তুলনায় ১৪০ ট্রিলিয়ন গুণ বেশি পানি।
৪. মশা দূর করার ওষুধ আসলে মশা দূর করে না। এটি মশার সেন্সর অকার্যকর করে দেয়। ফলে আপনার অবস্থান শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় মশা।
৫. মানুষের নিপল থাকে কেন? কারণ Y ক্রোমোজোম প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত সবাই নারী থাকে (X ক্রোমোজোম)।
৬. মানুষের আঙ্গুলের ছাপ যেমন অনন্য, তেমনি কুকুরের নাকও। নাক দিয়ে কুকুর শনাক্ত করা সম্ভব।
৭. প্রশান্ত মহাসাগরে এমন একটি আবর্জনার স্তুপ ঘূর্ণায়মান আছে যার আকার টেক্সাসের সমান।
৮. ইউরেনাস এবং নেপচুনে ডায়মন্ড বৃষ্টি হয়।
৯. একজন পুরুষের কণ্ঠস্বর অন্য পুরুষের মস্তিষ্কের সেই অংশ দিয়েই প্রসেস করা হয় যেখানে মূলত বিভিন্ন শব্দ যেমন, গাড়ির হর্ন, যন্ত্রের শব্দ প্রসেস করা হয়। কিন্তু নারীর কণ্ঠস্বর প্রসেস করা হয় মস্তিষ্কের অন্য অংশ দিয়ে যা সাধারণত গান বা সুরেলা শব্দ নিয়ে কাজ করে।
১০. মানুষের মস্তিষ্ক যদি কম্পিউটার হত, তাহলে এটি প্রতি সেকেন্ডে ৩৮ হাজার ট্রিলিয়ন কমান্ডের সমাধান দিতে পারতো। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার ব্লুজিন এর মাত্র ০.০০২ শতাংশ কাজ করতে পারে।
১১. প্রতি ৭ বছরে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ একবার করে প্রতিস্থাপিত হয়। অর্থাৎ ৭ বছর আগে আপনি যা ছিলেন, ৭ বছর পর আপনি আর সেরকম নেই।
১২. মানুষের দেহ গঠন করা পরমাণুতে থাকা খালি জায়গা যদি অপসারণ করা হয়, তাহলে পৃথিবীর সব মানুষকে একটি আপেলের মধ্যে রাখা যাবে।
১৩. চাঁদের বুকে ওয়াইফাই ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে নাসা। এর গতি আমাদের বাসার ইন্টারনেট গতি থেকেও বেশি, ১৯ এমবি/সেকেন্ড।
১৪. রাশিয়ার আকাশ প্লুটোর থেকেও বড়।
১৫. একজন মানুষের জীবনে ৪০ পাউন্ড চামড়া ঝরে যায়। অর্থাৎ সে হিসেবে প্রতি মাসে একবার দেহের চামড়া পরিবর্তিত হয়।
১৬. আপনি যে পানি পান করছেন, তার একটি অংশ এর আগে কেউ পান করেছিল। হয়তোবা কয়েকবারও!
বিবার্তা/জিয়া