বাথরুম বা টয়লেট নিয়ে এমন অনেক তথ্য রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। অথচ এমন একটি জিনিস আমরা দিনরাত ব্যবহার করে চলেছি নিজেদের প্রয়োজনে।
ইতিহাস বলছে, রানি এলিজাবেথের রাজ্যপাঠের সদস্য স্যার জন হ্যারিংটনের ভাবনাপ্রসূত হল বর্তমান যুগের ‘ফ্ল্যাশ টয়লেট’। ১৫৯৬ সালে এই ধরনের টয়লেটের ব্যবহার শুরু হয়।
তবে ১৭৭৫ সালে আলেকজান্ডার কামিং নামে এক ইংরেজ ফ্ল্যাশ টয়লেটের সংস্কার করে একে নতুন রূপ দেন। তিনিই সর্বপ্রথম ফ্ল্যাশ টয়লেটের পেটেন্ট নিজের নামে নেন। তিনি একটি ‘এস’ আকারের ভালভ তৈরি করেন যা টয়লেটে দুর্গন্ধ দূর রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও টয়লেটের আরও নানা উল্লেখযোগ্য ও মজাদার দিক রয়েছে যা অনেকেই জানেন না। জেনে নিন তেমনই কয়েকটি অজানা তথ্য।
প্রথম তথ্য: এমনিতে বাথরুম বা টয়লেটে প্রচুর ময়লা থাকে। কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে পরিষ্কার জায়গা হল টয়লেটের বসার জায়গা। এখানে বসা হয় বলে এই জায়গাটিকে পরিষ্কার করার দিকে সকলের নজর থাকে।
দ্বিতীয় তথ্য: স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে যে পরিমাণ নোংরা ও জীবাণু থাকে, টয়লেটে তার তুলনায় অনেক কম জীবাণু থাকে।
তৃতীয় তথ্য: সমীক্ষায় দেখা গেছে, টয়লেট থেকে বেরনোর পরে ৭৭ শতাংশ পুরুষ হাত ধোয়। যেখানে মহিলাদের সংখ্যা শতকরা হারে ৯৩ জন।
চতুর্থ তথ্য: প্রত্যেকবার ফ্ল্যাশে অন্তত ৬ লিটার করে পানি খরচ হয়। ফলে অযথা পানি নষ্ট করার আগে অবশ্যই ভেবে দেখবেন।
পঞ্চম তথ্য: ১৭৩৯ সালে প্যারিসে প্রথমবার পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তখন থেকেই এই ভাবনার প্রচলন হয়।
ষষ্ঠ তথ্য: সাধারণ ধারণা হল, মেয়েরা বাথরুমে ঢুকলে বের হতে চান না। তবে সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা বেশি সময় টয়লেটে কাটান।
বিবার্তা/জিয়া