যাযাবর জীবন ভালোই কাটছিল ওদের। পশুপালন, তৃণভূমিতে পশুচারণ এভাবে কেটে যাচ্ছিল দিন ওদের। কিন্তু চিরদিন কি আর সমান যায়? ওদের জীবনেও নেমে এলো দুর্বিপাক। নিয়তি ওদের ঠেলে নিয়ে গেল মুক্ত প্রকৃতি থেকে শহরের বাক্সবন্দী জীবনে। প্রকৃতির সন্তানেরা কেমন আছে ইটপাথরের নগরে সে গল্পই এখানে বলছি-
অবশেষে এক দিন সত্যি সত্যিই গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে এলো অচখু জেনেন। কেন, সে কথা পরে বলছি। আগে অচখুর পরিচয় জেনে নিই।
অচখু এক তরুণ মঙ্গোলিয়ান। পেশা পশুপালন। যাযাবর এই মানুষেরা পশুপাল নিয়ে এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়ায় কোথায় নতুন ঘাস গজালো, কোথায় দুই ফোঁটা বৃষ্টি হয়ে খানাখন্দকে এক ফোঁটা পানি জমল, তার খোঁজ পেতে। তারপর পশুর পাল নিয়ে সেখানে ডেরা বাঁধে। চার পাশে দিগন্তবিস্তৃত জমিন - বাধাবন্ধনহীন, মুক্ত স্বাধীন।
সেই স্বাধীন জীবন ছেড়ে, সব পশু বেচে দিয়ে এক দিন অচখু একটি পিকআপ ট্রাক ভাড়া করল। সংসারের টুকটাক জিনিসপত্র যা কিছু আছে সব তুলে দিলো তাতে। নিজেও উঠে বসল। পাশে স্ত্রী নরভো। তার কোলে শিশুপুত্র উলাকা, পাশে ছয় বছর বয়সী মেয়ে আনুকা। ট্রাক ছুটে চলল মঙ্গোলিয়ার রাজধানী ইউবি অর্থাৎ উলানবাতারের দিকে। দ্রুত ধাবমান পথের দিকে নির্নিমেষ তাকিয়ে রইল অচখু। তার চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই তার মনে কী ঝড় বইছে।
রাজধানীতে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব গুছিয়ে ফেলল অচখু। শহরের উপকণ্ঠে কাঁটাতারের বেড়ায় ঘেরা ছোট্ট একটুখানি জায়গা ভাড়া নিলো। তাতেই বসালো যাযাবরদের চিরচেনা ছোট গোলাকার বাড়ি, যাকে ওরা জের বলে। অচখুদের জায়গার চার পাশে কাঁটাতারের বেড়ায় ঘেরা একই রকম কয়েক হাজার প্লট, সবগুলোর মাঝখানে একটি করে জের। বোঝাই যায়, গাছাড়া যাযাবরেরা সব বসতি গেড়েছে এখানে।
কুটিরের নিচু কাঠের দরজা খুলে বাইরে এসে দাঁড়াল অচখু। এখান থেকে দূরের রাজধানী শহরটা বেশ দেখা যায়। ভেতরে ততক্ষণে খানাপিনা তৈরি শুরু করে নিয়েছে নরভো। স্টোভ জ্বেলেছে। পাইপ দিয়ে তার ধোঁয়া বেরোচ্ছে গল গল করে। ফেলে আসা গাঁয়ের জন্য বুকের ভেতর কোথাও একটু চিন চিন করে তার, তবে নতুন জায়গাও একেবারে খারাপ লাগে না। সেই পুরনো ছোট্ট কুটিরই তো। তার মেঝে মোটা কাপড় দিয়ে মোড়ানো। লোহার স্টোভ। দেয়ালঘেঁষে ক্যাম্পখাট। দেয়ালে পিন দিয়ে সুন্দরভাবে আটকানো হয়েছে পরিবারের সবার গ্রুপ ছবি। কাঠের টেবিলে ছোট একটি টিভি সেট। এই তো। সব তো আগের মতো!
হ্যাঁ, ঘরের ভেতর সব আগের মতোই বটে। কিন্তু বাইরে সম্পূর্ণ আলাদা। রাজধানী থেকে কয়েক ঘণ্টার পথ পেরোলেই তো অচখুর সেই পুরনো এলাকা। নরভোর বাপের বাড়ির পেছনেই ছিল অচখুর কুটির। তার পাশেই তার গোয়ালঘর। গোয়ালঘর আর কী, কাঠের ঘের একটা। তাতেই থাকত তার পালিত পশু গরু, ভেড়া, ঘোড়া। ঘর থেকে বেরোলেই চোখে পড়ত তাদের। আর এখানে? এখানে পশু বলতে কেবল ল্যান্ডলর্ডের একটা কুকুর। সময় নেই, অসময় নেই, কারণে-অকারণে খালি ঘেউ ঘেউ করেই চলেছে। অচখুর সব কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। ভাবে, এ আমি কোথায় এলাম?
অচখু, তুমি এসেছ শহরে, মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাতারে। রাজধানীর উপকণ্ঠে এক বস্তি এলাকায় উঠেছ তুমি, যে শহরের ৬০ শতাংশ মানুষ বাস করে বস্তিতে। এসব বস্তিবাসীর জন্য নেই ভালো কোনো রাস্তা, খাবার পানি, পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থা। শহুরে সব বস্তির মতো এখানেও অবাধে চলে সব ধরনের পাপ। চলে মাদক ব্যবসায় ও সেবন। এখানে দেখা যায় দরিদ্রের বীভৎস চেহারা। আর আছে গভীর হতাশা। এখানকার বাসিন্দা যাযাবরেরা ভাবতেও পারে না রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কাঁটাতারের বেড়ার গেটে তালা লাগিয়ে আটকে দিতে হয়। তার পরও তাদের তা করতে হয়। এই অবিশ্বাস্য, অচিন্তনীয় কাণ্ড দেখে তাদের বিস্ময় যেন কাটেই না! অচখুর ভাষায় : কুটির থেকে বাইরে পা ফেলামাত্র চার দিকে বেড়াই শুধু দেখি। আমরা যেন বাক্সের ভেতর বাস করি।
যাযাবর গোত্রের মানুষের তো বাক্সের ভেতর বসত করার কথা ছিল না! মুক্ত প্রকৃতির কোলে তাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। সেখানেই তো থাকার কথা তাদের! অচখু, নরভো ও তাদের মতো আরো প্রায় পাঁচ লাখ যাযাবর কেন চৌদ্দপুরুষের বসত ছেড়ে এই শহরে? সে কথাই বলছি।
২০০৯ ও ২০১০ সালের গ্রীষ্মে হলো প্রচণ্ড খরা। কোথাও এক ফোঁটা ঘাস নেই, এক বিন্দু পানি নেই। না খেয়ে মরল অনেক গৃহপালিত পশু। এরপর এলো শীত। সেবার শীতে এলো আরেক বিপদ দ্জুদ। এটা হচ্ছে এমন একটা অবস্থা, যখন প্রচণ্ড শীতের পাশাপাশি নেমে আসে বিরামহীন বরফ ও তুষারপাত। চার মাস ধরে চলল এ অবস্থা। এর মধ্যেই উজাড় হয়ে গেল যাযাবরদের গোয়াল। সমগ্র মঙ্গোলিয়ায় সেবার ৮০ লাখ গরু, চমরি গাই, উট, ঘোড়া, ছাগল ও ভেড়া মরে গেল। অচখুর ছিল সাড়ে তিন শ’ পশু। শীত শেষে দেখা গেল, আছে মাত্র ৯০টি। গভীর হতাশায় ছেয়ে গেল তার মন। না, এখানে আর নয়। এ কাজ করে আর চলবে না। পশুগুলো সব বিক্রি করে দিলো অচখু। ভাবল, এ গাঁয়ে আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই। দেখি নতুনভাবে জীবন শুরু করা যায় কি না। তা করতেই শহরে পাড়ি জমাল সে।
অচখু ও তার স্ত্রী নরভোর যে শহুরে জীবন ভালো লাগছে তা নয়। তবে শহরের সুবিধা অনেক। এখানে তাদের দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ আছে। গ্রামে থাকতে অসুখ-বিসুখে ডাক্তার মিলত না। সন্তানদের জন্য কোনো স্কুল ছিল না। আর এখন তাদের কোলের শিশুটি চিকিৎসা পাচ্ছে বিনা পয়সায়। মেয়ে অনুকা একটি সরকারি স্কুলে ভর্তি হয়েছে।
অচখু ও নরভোর মতো পাঁচ লক্ষাধিক যাযাবর এখন উলানবাতারের বস্তিগুলোতে। প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ ও বরফপাতে পশুর পাল মরে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে তারা কেউ কেউ এসেছে নগরে। কেউবা এসেছে অন্য কোনো দুর্ভাগ্যের তাড়া খেয়ে। আর অনেকে এসেছে সুন্দর ভবিষ্যতের আশায়। এ আশাও একেবারে ভিত্তিহীন নয়। মঙ্গোলিয়ায় পাওয়া গেছে কয়লা, স্বর্ণ ও তামার খনি। সেগুলো তোলার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে ছুটে আসছে বিদেশীরা। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে চাকরির সুযোগ। যাযাবরদের কেউ কেউ সেই চাকরির টানে ছুটে আসছে নগরে। অল্প অল্প করে ওরা আসছিল অনেক বছর ধরেই, তবে গত কয়েক বছরে ওদের আসার হার বেড়েছে অনেক বেশি। উলানবাতারের সর্বত্রই এখন ওদের দেখা যায়। দেখা যায় সেই চিরায়ত পশুপালকের পোশাকে শক্ত জুতো, ঘাসের টুপি। দেখলেই চেনা যায় ওরা কারা।
শুধু পোশাক-আশাক নয়, রাজধানীতে এসেও ওরা শহুরে আচরণ শেখার গরজ বোধ করে না। তাদের আচার-আচরণ সেই আদিম পশুপালক গোত্রের মতোই। প্রখ্যাত প্রকাশক ও ইতিহাসবেত্তা বাবর মঙ্গোলিয়ান চরিত্র নিয়ে প্রায়ই লেখালেখি করেন। তিনি বলেন, ‘এসব লোক একেবারে স্বাধীন। ওরা বহু বছর উলানবাতারে থাকলেও তাদের মনটা এখনো যাযাবরের। তারা যা মন চায় এবং যখন মন চায় তখন তা-ই করবে। তারা কিভাবে রাস্তা পার হয়, দেখুন! সামনে কোনো গাড়ি পড়ল কি না তার তোয়াক্কাই নেই। গাড়ি যত দ্রুতই ছুটে আসুক না কেন, একটু যে সামলে চলবে, তা নয়। আসলে আমরা জাতিটাই এ রকম, অমার্জিত। আইনের প্রতি আমাদের কোনো শ্রদ্ধা নেই।’
এক শনিবার সকালে অচখু ও নরভো তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে চলে গেল গ্রামে, অচখুর শ্বশুরবাড়িতে। উদ্দেশ্য : শ্বশুরের খামারটা আগামী শীতের জন্য তৈরি করে দেবে। নরভোর পিতা অর্থাৎ অচখুর শ্বশুর আসন্ন শীতের জন্য ঘাস কাটছিলেন। অচখু তার সাহায্যে লেগে গেল। পরদিন রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা এত ঘাস কাটল, যা জ্বালিয়ে পুরো শীতকালটা পশুদের উষ্ণ রাখা যাবে, এমনকি দ্জুদ (প্রচণ্ড শীত ও বরফপাত) হলেও। অচখুর শ্বশুরের নাম জায়া। গত দ্জুদে তিনি অসংখ্য পশু হারিয়েছেন। তার পশু ছিল হাজারের ওপরে। দ্জুদ শেষে দেখা গেল, মরেটরে গিয়ে আছে মাত্র শ’তিনেক। তবে তাতে ভেঙে পড়ার পাত্র নন জায়া। পুরনো বৈভব ফিরে পেতে তিনি কৃতসঙ্কল্প। তার আছে কয়েক দশকের পশুপালনের অভিজ্ঞতা কমিউনিস্ট শাসনের আগে, কমিউনিস্ট শাসনামলে এবং এখন। তবে কমিউনিস্ট শাসনামলকে খুব ‘মিস’ করেন তিনি। তার মতে, ‘কমিউনিস্ট শাসনের অনেক খারাপ দিক অবশ্যই ছিল। আমাকে কী করতে হবে, এটা আমলাদের মুখে শুনতে আমার ঘেন্না লাগত। তবে এটা তো ঠিক, গত শীতের মতো দুর্যোগ যখনই এসেছে, কমিউনিস্টরা (তাদের শাসনামলে) আমাদের সুরক্ষা দিয়েছে। কারো সব পশু মরে গেলেও তাকে না খেয়ে মরতে দেয়নি।’
ইতিহাসবেত্তা বাবর বলেন, জায়া ও অচখুর মতো লোকেরাই সত্যিকার পশুপালক জায়া তার পশুদের ছেড়ে কোথাও যাবেন না, আর অচখু ছুটির দিনে শহর থেকে ছুটে আসবে গ্রামে। এই দেখুন না, কমিউনিজমের পতনের পর যখন বহু মিল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেল, তখন হাজার হাজার লোক উলানবাতার ছেড়ে তাদের বাপদাদার ভিটেয় ফিরে গেল, কিন্তু তত দিনে তারা যাযাবর জীবনের সব কিছু ভুলে গেছে। কিভাবে পশুপালন করতে হয়, কিভাবে কঠিন শীতের মধ্যেও বেঁচে থাকা যায়, সব। মজার ব্যাপার হলো, তারা এত দিন শহরে থেকেও পুরোপুরি শহুরে হয়ে উঠতেও পারেনি।
এসব ঘটনা এমন একটা সময়ে ঘটতে যাচ্ছে যখন দুই বৃহৎ প্রতিবেশী শক্তিধর দেশের মাঝখানে বসে মঙ্গোলিয়া আপন বৈশিষ্ট্যে পুনরাবির্ভূত হতে চাচ্ছে। দেশটিতে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে জাতীয়তাবাদ, এমনকি বিদেশীবিদ্বেষ। তাই কেউ যখন মঙ্গোলিয়ার সমস্যার কথা বলে, তখন এর জন্য দেশের রাজনীতিকদের পাশাপাশি বিদেশীদেরও দায়ী করবেই। তাদের মতে, রাজনীতিকেরা হচ্ছে মহা দুর্নীতিবাজ। এ কথা যে একেবারে মিথ্যা, তাও বলার জো নেই।
চীনের ব্যবসায়ীদের ওপর মহাক্ষিপ্ত মঙ্গোলিয়ানরা। তাদের মতে, ওই চীনারা মঙ্গোলিয়ার টাকায় ধনী হচ্ছে। শুধু এ কথা বলেই ক্ষান্ত হয় না তারা, চেঙ্গিস খানের মতো কালো পোশাক পরা তরুণ মঙ্গোলিয়ানরা সুযোগ বুঝে চীনা ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা চালাতেও কসুর করে না। তাদের ভয়ে চীনারা সন্ধ্যার পর আর রাস্তায়ই নামে না।
তবুও চীনারা আসছে। কারণ এটা এখন প্রমাণিত সত্য যে, মঙ্গোলিয়া দেশটি বসে আছে ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের উত্তোলনযোগ্য কয়লা, তামা ও স্বর্ণের ওপর। এর বেশির ভাগই আবার চীন সীমান্তের কাছে। সীমান্তের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণ ও তাম্র খনি থেকে তা উত্তোলন করছে কানাডীয় কোম্পানি ইভানহো মহিনস। তাদের সাথে আছে অ্যাংলো-অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি রিও টিনটো এবং মঙ্গোলিয়া সরকার। উত্তোলিত সম্পদের ৩৪ শতাংশ পাবে মঙ্গোলিয়া, যা দেশটির অর্থনীতির শত শত কোটি ডলার যোগ করবে।
তবে এই অর্থের কতটা অচখুর মতো সাধারণ মানুষের পকেটে যাবে, সেটা একটা বিরাট প্রশ্ন। বিশ্বব্যাংক ও জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা মঙ্গোলিয়া সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন এই অর্থ দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ, জনশক্তি প্রশিক্ষণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সুখবাতার বাতবোল্ড আরো প্রত্যক্ষ পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন। বলেছেন, খনিজসম্পদের আয় থেকে দেশের প্রতিটি নারী, পুরুষ ও শিশুকে এক হাজার ২০০ মার্কিন ডলার করে দেয়া হবে।
অচখু বিশ্বাস করে না যে, এই অর্থ কখনো পাওয়া যাবে। বরং তার দরকার এখনই একটা কাজ। সে একটা উদ্যোগ নিলো। ভেবে ভেবে বের করল, সমাজের বেশির ভাগ মানুষের অভিন্ন প্রয়োজনটা কী। সে দেখল, বস্তিবাসীরা পানির অভাবে গোসল করতে পারে না। এবার অচখু ও তার পার্টনার স্থানীয় এক হোটেলের একটা রুম ভাড়া নিলো। বস্তির ঘরে ঘরে গিয়ে জানাল, সামান্য অর্থের বিনিময়ে ওই রুমে তারা গোসল করতে পারে। বস্তির লোকজন কি আর সহজে সেখানে যায়! অতএব, অচখুর প্রজেক্ট ফেল। তার সঞ্চয়ের একটা বিরাট অংশ, ২০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি গচ্চা গেল।
অচখু এখন ভাবছে ধারকর্জ করে একটা পুরনো কার কিনে সেটাকে ট্যাক্সিক্যাব বানাবে। স্বাধীন ব্যবসায়, ভালো উপার্জন। সবচেয়ে বড় কথা, গাড়িটা থাকলে মেয়েটাকে স্কুল থেকে আনা-নেয়া করা যাবে। অচখু বলে, উলানবাতারে আমরা পশুপালন করতে পারব না। তবে ছেলেমেয়েদের লালনপালনের জন্য এটা ভালো জায়গা।
ঠিক কথা। তবুও ফেলে আসা ঘোড়াগুলোর জন্য বুকের ভেতরে তীব্র ব্যথা অনুভব করে অচখু। তার কিছুই ভালো লাগে না।
বিবার্তা/হুমায়ুন