কুকুরকে বলা হয় প্রভুভক্ত প্রাণী। বাচ্চাদের অনেকেরই ইচ্ছে থাকে ছোটবেলায় যে তাদের নিজেদের একটি কুকুরছানা থাকবে। চলচ্চিত্রে আমরা কুকুরদের প্রভুভক্তির নানা নিদর্শন দেখতে পাই। আজ আসুন কুকুরদের সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য জেনে নেয়া যাক:
কুকুরদের মাঝে কোন পাপবোধ নেই: মনে করুন আপনার একপাটি জুতা খুঁজে পাচ্ছেন না। সারা ঘরময় খুঁজছেন। একে তাকে বকছেন। কিছুক্ষণ পর আপনার পোষা কুকুরটির মুখেই পাওয়া গেল আপনার জুতাটি। আচ্ছা করে শাসিয়ে দিলেন তাকে। কিছুক্ষণ পর নিজের কাছেই হয়ত খারাপ লাগবে যে কেন বকলাম? কুকুরটিও চুপচাপ হয়ে যাবে। বিজ্ঞানীদের কাছে কিন্তু এই চুপ হয়ে যাবার মানে সে খারাপ কাজ করেছে তার জন্য অনুতপ্ত হওয়া নয়। আপনার কুকুর বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ফ্রিকুয়েন্সির কথা শুনে সে অভ্যস্ত। হঠাৎ করেই অন্য একটি স্বরে আপনি এটির সাথে কথা বলছেন। এটি তা বোঝার চেষ্টা করছে মাত্র।
কুকুররাও রঙের পার্থক্য বোঝে: এতদিন ধারণা করা হত যে সাদা এবং কালো ছাড়া কুকুররা আর কোন রঙ বোঝে না। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে তারাও রঙ এর পার্থক্য বোঝে- কিন্তু মানুষের মত এত প্রখর নয়।সাধারণত আমাদের চোখে রঙ বোঝার জন্য তিন ধরনের কোণ কোষ থাকে। যেখানে কুকুরের রয়েছে দুটো। এজন্য তারা নীল ও হলুদ স্কেলে রঙ এর পার্থক্য বুঝতে পারে কিন্তু লাল ও সবুজের নয়। তাছাড়া কুকুররা রাতে আমাদের চেয়ে ভালো দেখতে পায়।
লেজ নাড়া মানেই খুশি নয়: সাধারণত আমরা লেজ নাড়ানো দেখলেই বুঝি যে কুকুরটি বুঝি খুশি হয়েছে বা কিছু খেতে চাচ্ছে। কিন্তু গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে ভিন্নতা। কুকুররা তাদের লেজ ডানদিকে নাড়তে থাকে যখন তারা খুশি হয়। ভয় পেলে নাড়তে থাকে বাঁ দিকে। যখন তারা আস্তে আস্তে লেজ নাড়ায়, তার মানে হচ্ছে তারা কিছু একটা নিয়ে শঙ্কিত। জোরে জোরে লেজ নাড়ানো মানে এটি তার রাগ প্রকাশ করছে। এটি তার নিজের মত করে মনের ভাব প্রকাশ করে।
তারাও স্বপ্ন দেখে ঘুমিয়ে পড়লে: আমরা ঘুমিয়ে যেমন স্বপ্ন দেখি, ঠিক তেমনি তারাও স্বপ্ন দেখে থাকে। মজার ব্যপার হচ্ছে, ছোট জাতের কুকুরদের স্বপ্নের দৈর্ঘ্য বড়দের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তথ্য সূত্র: দ্য ডেইলি মিরর।
বিবার্তা/জিয়া