গরমে ফুরফুরে থাকতে কিংবা ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে, সময় পেলেই ডিওডরেন্টটা একটু স্প্রে করে নেন। কী, তাই তো? এমনটা প্রায় সবাই করেন।
তবে শুধু যে গরমকালে তা নয়, ডিওডরেন্ট প্রায় সারা বছরেরই সঙ্গী। গ্রীষ্ম থেকে বর্ষা, শরীরকে সুবাসে ভরিয়ে তুলতে ডিওডরেন্ট মাস্ট। এমনও অনেকে আছেন, যারা বাদ দেন না কোনও ব্র্যান্ড। বাড়ি ভর্তি ডিওডরেন্টে। প্রতিদিন ব্যবহার করলেও ডিওডরেন্টের সম্পর্কে এই বিষয়গুলো অনেকেরই অজানা।
● আপনি যদি ভাবেন ডিওডরেন্টের ব্যবহার নতুন ট্রেন্ড, তা কিন্তু একেবারেই নয়। প্রাচীন মিশরীয় সভত্যার যুগেও ছিল সুগন্ধি ব্যবহারের রেওয়াজ।
● ১৮৮৮ সালের প্রথম ট্রেডমার্ক ডিওডরেন্ট হল মাম।
● গরমকালে শরীরে ঘাম হয়। ডিওডরেন্টের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া জাতীয় উপাদান, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। অর্থাৎ শরীর দুর্গন্ধ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে ডিওডরেন্ট।
● অনেকেই মনে করেন, ডিওডরেন্টের মধ্যে থাকা অ্যান্টিপার্সপিরেন্ট শরীরে ঘাম রোধ করে। তা কিন্তু একেবারেই নয়। ডিওডরেন্টের ব্যবহারে গায়ে চিপচিপে ভাব দূর হয়।
● বাজারে মহিলা ও পুরুষদের আলাদা আলাদা ডিওডরেন্ট পাওয়া যায়। আদতে কিন্তু আপনি মহিলা কী পুরুষ তাতে ডিওডরেন্টের কোনও পার্থক্য থাকে না। শুধুমাত্র গন্ধটাই একটু চড়া ও হালকা হতে পারে। তার বেশি কিছু না।
● ডিওডরেন্টে অ্যাসপিরেন্টে অ্যালুমিনিয়াম বেসড উপাদান থাকলে, তা জামাকাপড়ে দাগের কারণ হতে পারে। এই উপাদানটি ঘাম ও ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশলে এমন হয়। তাই অ্যালুমিনিয়াম বেসড ডিওডরেন্ট ব্যবহার না করাই ভালো।
● বাড়িতে বসে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন ডিওডরেন্ট। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও ডিওডরেন্ট তৈরি করে নেয়া যায়।
বিবার্তা/জিয়া