ভারতীয় বৈদিক জ্যোতিষ এবং পাশ্চাত্য জ্যোতিষের রাশিফল সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু দু’টি তত্ত্ব অনুযায়ীই ১২টি রাশি রয়েছে এবং প্রত্যেকটি রাশি যে নক্ষত্রমণ্ডলগুলোকে নির্দিষ্ট করে সেগুলোও এক। পার্থক্য হলো এই যে পাশ্চাত্য জ্যোতিষে ইংরেজি জন্মতারিখ অনুযায়ী রাশি নির্ধারণ করা হয় আর বৈদিক জ্যোতিষে জন্মমুহূর্তে নক্ষত্রের অবস্থান ইত্যাদি বিচার করে রাশি নির্দিষ্ট করা হয়।
গত তিন হাজার বছর ধরে ১২টি রাশির মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে আমাদের ভাগ্য। কিন্তু সম্প্রতি নাসা একটি রিপোর্টে জানায়, পাল্টে গেছে পৃথিবীর অক্ষ। সেই অনুযায়ী, পাল্টে গেছে রাশি-নক্ষত্রমণ্ডলগুলোর অবস্থান। শুধু তাই নয়, ১২টি নয়, ১৩টি নক্ষত্রমণ্ডলের কথাও জানিয়েছে তারা। নতুন সেই রাশিটির নাম- ‘ওফিউকাস’। সেজন্য জন্মসময় অনুযায়ী, আমাদের যে যে ‘রাশি’ নির্ধারণ করা হতো, তা বদলে যাবে অনিবার্যভাবেই। বদলে যাবে বাংলার ১২টি লগ্নও।
একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে জন্মতারিখ অনুযায়ী নতুন রাশির তালিকা-
১. মকর (কেপ্রিকন) - ৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি
২. কুম্ভ (অ্যাকোয়ারিয়াস) - ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ মার্চ
৩. মীন (পাইসেস) - ১২ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল
৪. মেষ (এরিস) - ১৯ এপ্রিল থেকে ১৩ মে
৫. বৃষ (তরাস) - ১৪ মে থেকে ১৯ জুন
৬. মিথুন (জেমিনাই) - ২০ জুন থেকে ২০ জুলাই
৭. কর্কট (ক্যানসার) - ২১ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট
৮.সিংহ (লিও) - ১০ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর
৯. কন্যা (ভারগো) - ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ অক্টোবর
১০. তুলা (লিব্রা) - ৩১ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর
১১. বৃশ্চিক (স্করপিও) - ২৩ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর
১২. অফিউকাস - ৩০ নভেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর
১৩. ধনু (স্যাজিটেরিয়া) - ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি
অবশ্য টাইম ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন রাশির এই ক্রমতালিকা তৈরি করেছে একটি বিশেষ অ্যাস্ট্রোনমি (জ্যোতির্বিদ্যা) সোসাইটি। অনেকেই এই তালিকাটিকে নাসা প্রকাশিত তালিকা বলে ভুল করছেন। নাসা এই বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা জ্যোতির্বিদ্যা চর্চা করে, কিন্তু জ্যোতিষ নয়। পৃথিবীর পরিবর্তিত অক্ষের সাপেক্ষে তারা কিছু গাণিতিক হিসাব-নিকাশ করেছে মাত্র এবং সেখানেই তারা ওফিউকাস নক্ষত্রমণ্ডলের কথা বলেছে।
নতুন রাশি বা নক্ষত্রমণ্ডল ওফিউকাস সম্পর্কে নাসা জানায়, প্রথম থেকেই মহাকাশে ছিল এটি। প্রাচীন ব্যাবিলনীয়ানরা ১২টি রাশির ক্যালেন্ডার মেলাতে গিয়ে এই রাশিটিকে বাদ দিয়ে দেয়।
বিবার্তা/নিশি