● রাসায়নিকভাবে অক্সিজেন আর হাইড্রোজেন মিলে পানি গঠিত হয়। পানির রাসায়নিক রূপ হচ্ছে HO
● দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু এবং একটি অক্সিজেন পরমাণুর রাসায়নিক বন্ধন দ্বারা একটি পানির অণু তৈরি হয়।
● জীবজগতের টিকে থাকার জন্য পানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
● প্রকৃতিতে তিনটি অবস্থায় পানি পাওয়া যায়– কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
● পানি বলতে আমরা মূলত H2O এর তরল অবস্থাকে বুঝি। পানির কঠিন অবস্থাকে বরফ এবং বায়বীয় অবস্থাকে জলীয়বাষ্প বলা হয়।
● ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৭০ ভাগই পানি দ্বারা আবৃত।
● পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পানি রয়েছে তিনটি মহাসাগরে। প্রশান্ত মহাসাগর এর মাঝে সবচেয়ে বড়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর। আর ভারত মহাসাগর রয়েছে আকারের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে। আমাদের বঙ্গোপসাগর কিন্তু এই ভারত মহাসাগরেরই একটা অংশ।
● প্রশান্ত মহাসাগরে রয়েছে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ নামের এক অদ্ভুত জায়গা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম স্থান।
● চাঁদের এবং সূর্যের টান এবং পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির কারণে সমুদ্রে জোয়ার-ভাঁটার সৃষ্টি হয়। আর এই জোয়ার-ভাঁটার জন্যেই সমুদ্রের পানিতে ঢেউ দেখা যায়।
● প্রতি এক কেজি সমুদ্রের পানিতে প্রায় ৩৫ গ্রাম লবণ পাওয়া যায়।
● সাধারণ পানি ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বরফে পরিণত হয়। কিন্তু সমুদ্রের পানিতে লবণ থাকায় তা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ই বরফে পরিণত হয়ে যায়।
● পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ নদীর নাম নীলনদ, এর দৈর্ঘ্য ৬৬৫০ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আমাজন নদী। এর দৈর্ঘ্য ৬৪০০ কিলোমিটার।
● পানির একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে তা বিভিন্ন ধরনের চিনি, লবণ বা অম্ল জাতীয় বস্তুকে খুব সহজেই দ্রবীভূত করে ফেলতে পারে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের তেল, মোম বা চর্বি জাতীয় পদার্থ পানির সংস্পর্শে কখনোই গলবে না। এ জন্যই কথায় বলে – ‘তেলে-জলে মিশ খায় না’
● বিশুদ্ধ পানির কোনো স্বাদ বা গন্ধ নেই।
● সাধারণ অবস্থায়, ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করলে পানি বাষ্পে পরিণত হয়। কিন্তু খুবই আশ্চর্যজনক ব্যাপার, এভারেস্ট পর্বতের উপরে পানিকে বাষ্পে পরিণত করতে প্রয়োজন হবে মাত্র ৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, বায়ুমণ্ডলের চাপ এবং উচ্চতাই এ জন্য দায়ী।
● সুদূর মঙ্গল গ্রহের পোলার আইস ক্যাপে বরফ অবস্থায় পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা- এ বিতর্কের পথে এই আবিষ্কারটি ছিল একটি মস্ত বড় অগ্রগতি।
● তাপমাত্রা কমিয়ে ফেললে যে কোনো পদার্থের আকার সংকুচিত হয়। কিন্তু পানি এক্ষেত্রে একটি আশ্চর্য ব্যতিক্রম। সম পরিমাণ পানিকে বরফে পরিণত করলে এর আয়তন বেড়ে যায়। এ কারণে শীতপ্রধান দেশে প্রায়ই দেখা যায়, বরফের প্রচণ্ড চাপে পানির পাইপ ফেটে গিয়েছে।
● একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে দৈনিক আট গ্লাসের মতো পানি পান করতে বলা হয়। নিয়মিত পানি পান না করলে শরীরের কোষ থেকে পানি শুকিয়ে যেতে থাকে। পানি শূন্য অবস্থায় মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
● শুধুমাত্র পান করা আর গৃহস্থালি কাজেই নয়, চাষাবাদের জন্যও পানি সেচের দরকার হয়। পানি সেচের মাধ্যমে কৃষিজমির মাটি নরম হয়ে সারের সঙ্গেমিশে উর্বর হয়ে ওঠে, ফলে সহজে ফসল জন্মাতে পারে।
বিবার্তা/জিয়া