হবিগঞ্জ জেলার রশিদপুর এলাকায় এগিয়ে চলেছে দেশের সর্ববৃহৎ তেল শোধনাগার নির্মাণের কাজ। আশা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই প্লান্টে প্রতিদিন চার হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন হবে।
এর মাঝে অধিকাংশ তেলই হবে পেট্রোল। জানা গেছে, এই পেট্রোল থেকে যে পরিমাণ অকটেন পাওয়া যাবে তা দিয়ে দেশের চাহিদা মিটবে। বিদেশ থেকে আর কোন অকটেন আমদানি করতে হবে না। অন্যান্য জ্বালানি তেলও আমদানি কমে যাবে উল্লেখযোগ্য হারে।
সূত্র জানায়, দেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস ফিল্ড বিবিয়ানায় গ্যাসের উপজাত হিসেবে যে কনডেনসেট পাওয়া যায় তা দিয়ে ওই তেল উৎপাদন হবে। নতুন এই প্লান্টে উৎপাদিন তেলের মাঝে দুই হাজার ব্যারেল হবে পেট্রোল। এটি আরও পরিশোধন করে অকটেন তৈরি করা হবে। এছাড়াও প্রতিদিন এক হাজার ব্যারেল কেরোসিন ও এক হাজার লিটার ডিজেল উৎপাদন করা হবে। প্রয়োজন অনুসারে এই প্লান্টে তারপিনও উৎপাদন করা হবে।
রশিদপুরে বর্তমানে আরও একটি শোধনাগারে প্রতিদিন তিন হাজার ৭৫০ ব্যারেল তেল উৎপাদন হচ্ছে। সেটিতেও বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের কনডেনসেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রওনাকুল ইসলাম জানান, রশিদপুরের নতুন এই প্লান্টটি হবে দেশের সর্ববৃহৎ তেল শোধনাগার। বতর্মানে সিলেট গ্যাসফিল্ডে লিমিটেডের তিনটি শোধনাগার চালু আছে। এগুলো হল কৈলাশটিলা, হরিপুর ও রশিদপুর।
তিনি আরও জানান, রশিদপুরের নতুন চার হাজার ব্যারেলের প্লান্টটির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এক বছরের মাঝেই এটি উৎপাদনে যাবে। এটি চালু হলে বিদেশ থেকে আর অকটেন আমদানি করতে হবে না।
তিনি আরও জানান, কাচামাল হিসাবে যে পরিমাণ কনডেনসেট ওয়েল পাওয়া যায় শোধনের পরও সেই পরিমাণ তেলই পাওয়া যায়। উৎপাদের ক্ষেত্রে ৫/৬ টাকা মূল্য সংযোজন ঘটে।
বিবার্তা/জিয়া