আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করেছে প্রাইমমুভার ট্রেইলর মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ধর্মঘটের ষষ্ঠ দিন আজ শুক্রবার দুপুরে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংগঠনটির সদস্য সচিব মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক।
এর আগে সড়কে ৩৩ টনের বেশি ওজনের কন্টেইনারবাহী প্রাইম মুভার পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্মঘট শুরু করে প্রাইম মুভার ট্রেইলার মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা, বেসরকারি আইসিডি মালিকদের সংগঠনের প্রতিনিধি, সড়ক বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিজিএমইএ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় ওই বৈঠক।
প্রাইম মুভার ট্রেইলার মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো দিয়ে মন্ত্রণালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় বৈঠক স্থগিত করেন জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন।
এদিকে টানা ৫ দিনের কন্টেইনার পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে ভয়াবহ কন্টেইনার জট দেখা দিয়েছে। বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার ধারণক্ষমতা ৩৬ হাজার ৩৫৭ হলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা ৪১ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে সময়মতো জাহাজে কন্টেইনার উঠাতে না পারায় রপ্তানি পণ্য না নিয়েই চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে ১০টি জাহাজ। ওই সব জাহাজে জাহাজীকরণে ব্যর্থ ২ হাজার ৭০০ কন্টেইনার বন্দরের ১৬টি ডিপোতে আটকে আছে।
গত ১৬ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে গাড়িভেদে পণ্য পরিবহনের পরিসীমা বেঁধে দেয়। এর প্রতিবাদে এবং এই প্রজ্ঞাপন স্থগিতের দাবিতে এ কর্মসূচি ডাকা হয়। সংগঠনের আওতাধীন আট হাজার গাড়িতে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার আনা-নেওয়া বন্ধ রয়েছে। এসব গাড়ি ছাড়া কনটেইনার পরিবহন করা যায় না। সড়ক বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১৪ চাকার প্রাইম মুভার ট্রেইলার সর্বোচ্চ ৩৩ টন (গাড়ি ও কনটেইনারের ওজনসহ) পরিবহন করতে পারবে। এর বেশি হলে স্তর ভেদে দুই থেকে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা নির্ধারণ করা হয়।
কনটেইনার পরিবহন করা গাড়ির মালিকেরা বলছেন, ওই প্রজ্ঞাপনের পর প্রতিটি প্রাইম মুভার ট্রেইলারকে জরিমানা করা হচ্ছিল। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
বিবার্তা/জিয়া