ষষ্ঠ কমওয়ার্ড বা কমিউনিকেশন আওয়ার্ডের জন্য ৪১টি বিজ্ঞাপনী সংস্থা, প্রোডাকশন হাউস এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্রিয়েটিভ বিভাগ থেকে ৪৬৭টি মনোনায়ন জমা পড়েছে। এটি এই পুরস্কারের জন্য এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক মনোনয়ন জমা পড়ার রেকর্ড। বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিপণনের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন বা সৃজনশীল যোগাযোগের স্বীকৃতি প্রদান ও এটাকে উৎসাহিত করতে কমওয়ার্ডই হলো বৃহত্তম পুরস্কার; যা ২০০৯ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে।
কানস লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অব ক্রিয়েটিভিটির সহযোগিতায় কমওয়ার্ড প্রতিবছরই দেশের সেরা কমার্শিয়াল কমিউনিকেশন ক্যাম্পেইন তৈরি ও প্রচারের জন্য এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। পুরস্কারটির জন্য প্রতিবছরই বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা, প্রোডাকশন হাউস এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রিয়েটিভ বিভাগকে তাদের তৈরি এবং সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত সবচেয়ে সৃজনশীল ও কার্যকর বিজ্ঞাপনের মনোনয়ন পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়। এতে যেসব মনোনয়ন পাওয়া যায় সেগুলো থেকে সেরা বিজ্ঞাপন বাছাই করেন বিজ্ঞ বিচারকগণ। এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের আইডিয়া বা ধারণা, বাস্তবায়ন বা প্রচার/সম্প্রচার ও ইমপ্যাক্ট বা ভোক্তা সমাজে প্রভাব এগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।
এর আগে ২০১৫ সালে কমওয়ার্ডের জন্য ২১টি ক্যাটাগরিতে মোট ৩৬২ এবং ২০১৪ সালে ১৯টি ক্যাটাগরিতে ২৬০টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তবে এ বছরে মনোনয়নের ক্যাটাগরি বাড়িয়ে ২৫টিতে উন্নীত করা হয়েছে। এবারে যে চারটি নতুন ক্যাটাগরি যোগ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, বেস্ট এনগেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, বেস্ট লঞ্চ ক্যাম্পেইন, ক্রিয়েটিভ ইউজ অব মিডিয়া বা মিডিয়ার সবচেয়ে সজৃনশীল ব্যবহার এবং বেস্ট ইউজ অব কনটেন্ট, বেস্ট ইউজ অব ডিজিটাল মিডিয়া বা ডিজিটাল মিডিয়ার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং নিউ টেকনোলজি ইন প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন সম্প্রচারে নতুন প্রযুক্তি। এবারে তিনটি সসুমন্বিত সেশনের মাধ্যমে মনোনয়ন বাছাই অর্থাৎ চূড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়েছে। পুরস্কার দেয়া হবে তিনটি ক্যাটাগরিতে - গ্র্যান্ড প্রি, গোল্ড ও সিলভার।
ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর রাতে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেয়া হবে। সেদিন একই স্থানে সকাল থেকে অনুষ্ঠিত হবে কমিউনিকেশন সামিট।
কমিউনিকেশন সামিটে পাঁচটি মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী পাঁচ জনই ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন বা সজৃনশীল যোগাযোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনকারীরা হলেন গুগলের বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কান্ট্রি হেড ফজল আশফাক; বিজনেস ক্রিয়েটিভিটি, ইনোভেশন, চেইঞ্জ ও গ্লোবাল বিজনেস প্রভৃতি বিষয়ের লেখক ও মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনকারী ফ্রেডরিক হ্যারেন; গ্রে গ্রুপের এশিয়া প্যাসিফিকের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নির্ভীক সিং; ইউনিলিভারের এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও তুরস্কের হোমকেয়ারের রিজিওনাল ইনটেগরেটেড ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্টের সাবেক পরিচালক ভারত আভালানি এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (আরআইএল) ব্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড মার্কেটিং কমিউনিকেশনের প্রেসিডেন্ট কৌশিক রায়।
কমওয়ার্ড ২০১৬ পুরস্কার প্রদানে ইভেন্ট পার্টনার হয়েছে লা মেরিডিয়ান ঢাকা। রোরিং লায়ন্স হয়েছে স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স পার্টনার। নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে এমএসবি। টিভি পার্টনার হয়েছে গাজী টিভি। আমরা হয়েছে আইটি পার্টনার। জনসংযোগ পার্টনারের দায়িত্ব পালনে আছে মাস্টহেড পিআর। এ ছাড়া ওয়েবেবল ডিজিটাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পার্টনার এবং ভিজ্যুয়াল পার্টনার হিসেবে রয়েছে আতশ।
বিবার্তা/জিয়া