ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে যাবার পর যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশ এবং কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত অন্যান্য দেশ বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে। কথিত ব্রেক্সিটের ওপর দুটি নতুন গবেষণাপত্রে নীতি বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকরা এই পূর্বাভাস করেছেন।
সেক্রেটারিয়েটের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড পলিসি সেকশনের প্রধান ড. মোহাম্মদ রাজ্জাক বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে যুক্তরাজ্যের ডিলিংয়ের কারণে এবং অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশের সাথে বাণিজ্য অংশীদারিত্বের কারণে ব্রেক্সিট একটি অজ্ঞাত বাণিজ্যিক ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। এতে অনেকেই ইউরোপীয় বাণিজ্য সুবিধা লুফে নিতে পারে।
’ট্রেড হট টপিকস্’ শিরোনামে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সুবাদে ব্রেক্সিট দুর্বল হবার কারণে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থা অনেক উন্নয়নশীল দেশ এবং তথাকথিত স্বল্পোন্নত দেশের জন্য পীড়াদায়ক হতে পারে।
ড. রাজ্জাক সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এ সব ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূকে বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পর এ সব দেশ সমান সুবিধা না পেলে ছয়শত মিলিয়নের বেশি অতিরিক্ত বাষির্ক রফতানি শুল্ক প্রদান করতে হবে।
তিনি বলেন, কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত ৩৬টি দেশকে তাদের মোট রফতানির এক শতাংশ হিসেবে বেশি কর যুক্তরাজ্যকে দিতে হতে পারে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মতো মরিশাস, সিসিলি এবং সুইজারল্যান্ডকে এই কর দশ শতাংশের বেশি দিতে হতে পারে।
ড. রাজ্জাক হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এতে শুধু বাণিজ্য সুবিধার ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলবে না, যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে পাওয়া বৈদেশিক সাহায্যেও প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ১৩.৪ মিলিয়ন লোক জরুরি খাদ্য সহায়তা পেয়েছে এবং ১১ মিলিয়ন শিশু তাদের শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা পেয়েছে।
রাজ্জাক আরো বলেন, উচ্চ আয়ের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য একটি। তাদের মোট জাতীয় আয়ের ৭ শতাংশ বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে প্রদান করতে হয়।
বিবার্তা/জিয়া