কুয়েতে গৃহখাতের কর্মী যেতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমতি লাগলেও সেখানকার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়নি। ‘কুয়েতের শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য ফের বন্ধ হয়েছে’ এমন খবর নাকচ করে দিয়ে বুধবার দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার কুয়েত ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয়। তবে ২০১৪ সাল থেকে আবারও কর্মী যাওয়া শুরু হয় দেশটিতে। ২০১৫ সালে ১৭ হাজার ৪৭২ জন কর্মী গেছেন দেশটিতে। আর এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত গেছেন ১৯ হাজার ১৮৪ জন। দেশটিতে দুই লাখের বেশি বাংলাদেশি আছেন।
বুধবার কুয়েতের দৈনিক আল-আনবা পত্রিকায় প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে, ‘কুয়েতের শ্রমবাজার ফের বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়েছে। সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেয় কুয়েতের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট বিভাগের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি শেখ মাজেন আল জারাহ।’
বুধবার এ বিষয়ে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) আবদুল লতিফ খান বলেন, ‘কুয়েতের শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য বন্ধ হয়নি। গণমাধ্যমের খবর প্রকাশের পর আমরা দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি হলো, আগে কুয়েতে গৃহ খাতে কর্মী যেতে হলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগত। মাস ছয়েক আগে এই নিয়ম স্থগিত করা হয়। কিন্তু এখন আবার এই নিয়ম কার্যকর হলো।’
জনশক্তি রপ্তানি প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশি শ্রমিকরা প্রথমবারের মতো কুয়েত যাওয়ার সুযোগ পান। ২০০৭ সাল পর্যন্ত মোট চার লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক চাকরি নিয়ে সেখানে যান। এরপর বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কিছু ‘অনিয়মের’ অভিযোগ এনে ২০০৭ সালে অনেকটা কৌশলেই শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দেয় কুয়েত।
সরকারি পর্যায়ে দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর ২০১৪ সালে কুয়েত আবারও বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে রাজি হয়। ওই বছরই সে দেশের একটি কোম্পানি বাংলাদেশ দূতাবাসে ৫৯৩ জন শ্রমিকের চাহিদা পাঠায়।
বিবার্তা/জিয়া