কোরবানি ঈদকে পুঁজি করে বাড়তি দামে ব্রিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের মশলা। এর মধ্যে দফায় দফায় বেড়েছে কয়েকটি মশলার দাম। তবে স্থিতিশীল আছে পেঁয়াজের দাম। কোরবানি ঈদের অন্যতম প্রয়োজনীয় পণ্য মশলা বাড়তি দামে বিক্রি হওয়ায় ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের মধ্যে। শনিবার রাতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলো ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
নগরীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, প্রতিকেজি কাঁচা আদার (চায়না) দাম ১২৫-১৩০ টাকা। আর দেশি আদার দাম ১১৫-১২০ টাকা। প্রতি কেজি এলাচের (অস্ট্রেলিয়ান) দাম মানভেদে ৯৫০-১০৫০ টাকা। মানভেদে প্রতি কেজি জিরার (সিরিয়া) দাম পড়ছে ৩৪০-৩৬০ টাকা। দারচিনির দাম কেজি প্রতি ২৬০-২৮০ টাকা। রসুনের কেজি ১৬৫-১৭০ টাকা। এছাড়া দেশি মরিচের কেজি ১৯০-২০০ টাকা, ভারতীয় মরিচের কেজি ১৬৫-১৭০ টাকা এবং গোল মরিচের কেজি ৮৫০-৯০০ টাকা। সাদা গোল মরিচ কেজি ১৪০০ টাকা। দেশি (বিনি) হলুদের কেজি ১৫৫-১৬৫ টাকা, ভারতীয় হলুদ ১১৮-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। পোস্তা কেজি ৯০০ টাকা। লং কেজি ১০০০ টাকা, তেজপাতা কেজি ১২০ টাকা, জায়ফল কেজি ৫০০ টাকা, আলু বাখারা কেজি ৬৮০ টাকা, কিসমিস কেজি ২৬০ টাকা, বাদাম কেজি ১২০ টাকা। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৮-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। দেখা যাচ্ছে এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা ও পোস্তার দাম কেজিতে গড়ে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের এক দোকানি জানান, ঈদকে সামনে রেখে মশলার চাহিদা বেড়েছে। মশলার সরবরাহ পর্যাপ্ত আছে। তবে চাহিদা বাড়ায় এখন দাম কিছুটা বেশি। ঈদের আগ পর্যন্ত মশলার বাজার কিছুটা অস্থিতিশীল থাকতে পারে। এদিকে প্রতি বছর কোরবানি ঈদকে ঘিরে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল থাকলেও এবছর দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। স্থিতিশীল আছে দাম। ভারত থেকে পর্যাপ্ত আমদানির কারণে এবছর পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
নগরীর খিলগাঁও বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাদিক বলেন, পাইকারি বাজারে ১৪-১৭ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে পেঁয়াজ। ব্যবসায়ীদের গুদামে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই আগামী কয়েক মাসেও এর দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিবার্তা/জিয়া