এখন থেকে গরু মহিষের নাড়ি, ভুঁড়ি, শিং ও রগ রপ্তানি করলে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা (ভর্তুকি) দেবে সরকার। অর্থাৎ কোনো রপ্তানিকারক ১০০ টাকার গরু মহিষের নাড়ি, ভুঁড়ি, শিং ও রগ রপ্তানি করলে তাকে ১০ টাকা নগদ সহায়তা দেয়া হবে।
একইসঙ্গে আসবাব, প্লাস্টিক দ্রব্য, শস্য ও শাকসবজির বীজ এবং পাটকাঠির কার্বন, সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে উৎপাদিত ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি ভর্তুকি বা নগদ অর্থ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের জানিয়ে দিয়েছে।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য এসব পণ্য রপ্তানির পাশপাশি অন্যান্য পণ্য রপ্তানির বিপরীতেও নগদ সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিবারই নতুন বাজেট শুরুর পর রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা ঘোষণা করে থাকে সরকার।
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজে করে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এ সহায়তা দেয়া হবে।
সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ফার্নিচার রপ্তানির বিপরীতে ১৫ শতাংশ, প্লাস্টিক দ্রব্য ও গরু-মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি, শিং ও রগ রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ, সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত কারখানার ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রপ্তানির বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে রপ্তানি ভর্তুকি দেয়া হবে। এছাড়া শস্য ও শাকসবজির বীজ ও পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন রপ্তানির বিপরীতে ২০ শতাংশ হারে রপ্তানি ভর্তুকি বা প্রণোদনা দেয়া হবে।
সেই সঙ্গে ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ২ শতাংশ বিশেষ সহায়তা দেয়া হবে।
এছাড়া চামড়াজাত দ্রব্যাদি রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তার হার সাড়ে ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ এবং জাহাজ রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি ভর্তুকির হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং আলু রপ্তানি খাতে ভর্তুকির হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা এবং এ খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা আগের মতো ৪ শতাংশ থাকবে। বস্ত্র খাতে নতুন বাজার সম্প্রসারণে ৩ শতাংশ সহায়তা, হাতে তৈরি পণ্য (হোগলা, খড়, ছোবড়ার পণ্য) ও হালকা প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, কৃষিপণ্য ও হালাল মাংস রপ্তানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ বহাল আছে।
হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিতে বরফ আচ্ছাদনের হার ৭ থেকে ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য মাছের ক্ষেত্রে বরফ আচ্ছাদনের হার ২ থেকে ৫ শতাংশ এবং বিভিন্ন ধরনের পাটপণ্য রপ্তানিতে নগদ ভর্তুকি পণ্যভেদে ৫ থেকে ২০ শতাংশ বহাল আছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
সার্কুলারে ২০১০ সালের ৭ জুন জারি করা বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞা পুনর্র্নিধারণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কোনো রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এখন (২০১৬-১৭ অর্থবছর) থেকে কোনো অর্থবছরে সাড়ে ৩৫ লাখ ডলারের বস্ত্র বা সামগ্রী রপ্তানি করলে এবং বৃহৎ কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন না হলে পরবর্তী অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে।
বিবার্তা/জিয়া