সৌদি সরকারের শূরা কাউন্সিল সৌদিতে বাংলাদেশি পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। গত সোমবার রিয়াদে কাউন্সিলের ৪৯তম অধিবেশনে সদস্যরা এ অনুমোদন দেন। এ বিষয়ে একটি সুপারিশ তৈরি করেছেন কাউন্সিলের প্রশাসন ও মানবসম্পদ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাগাদি। দেশটির জাতীয় দৈনিক আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।
শূরা কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে সেদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ আরব নিউজকে বলেন, ‘উভয় দেশের জন্য এটি লাভজনক হবে। এ ছাড়া পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী নিয়োগ শুরু হয়। দেশটিতে ১৩ লাখ বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে; এর মধ্যে গৃহপরিচারিকা ৬২ হাজার। তিনি বলেন, প্রত্যেক মাসে সৌদি আরবে অন্তত ছয় হাজার নারী গৃহপরিচারিকা পৌঁছায়। সৌদি আরবে অন্তত ৪৮টি সেক্টরে আমাদের কর্মী আছে।
গোলাম মসিহ বলেন, যৌথ টেকনিক্যাল কমিটির সর্বশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ও সৌদি আরব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। সম্পর্ক উন্নত করার জন্য উভয় দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে; বিশেষ করে মানবসম্পদ খাতে।
এর আগে গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এবং সৌদি আরবের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়নমন্ত্রী মাফরেজ আল হাকাবানি সৌদিতে বাংলাদেশি গৃহকর্মী নিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।
গোলাম মসিহ বলেন, ঢাকায় সৌদি আরবের তিনটি কোম্পানি নারী গৃহপরিচারিকাদের প্রশিক্ষণ দেয়। আমরা বাংলাদেশে এ ধরনের সংগঠনকে স্বাগত জানাই, যাতে তারা পুরুষ গৃহকর্মীকেও প্রশিক্ষণ দিতে পারে।
বিবার্তা/জিয়া